কলকাতা: বক্সঅফিসে এখন শুধুই 'জওয়ান' (Jawan) ঝড়। দর্শকেরা মুগ্ধ শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)-এর নতুন ছবিতে। অন্যদিকে, টলিউডে উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে অবৈতনিক বিদ্যালয়? নজর রাখা যাক আজকের সোশ্যালের সেরা পোস্টগুলির দিকে


 


৩ দিনেই দেশে ২০০ কোটির গণ্ডি পার শাহরুখের 'জওয়ান' ছবির


শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) 'জওয়ান' বক্স অফিসে (Jawan Box Office Collection) জোর কদমে ছুটছে। প্রথম দিনে দুর্দান্ত ব্যবসার পর বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার খানিক কমে ব্যবসার পরিমাণ। তবে শনিবার ফের ঝড় বক্স অফিসে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির আয় ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে ২০০ কোটির গণ্ডি। শনিবার কত আয় হল? ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে, শনিবার অ্যাটলি পরিচালিত অ্যাকশন ফিল্ম হিন্দিতে আয় করেছে ৬৮ কোটির ওপরে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারেও অব্যাহত 'জওয়ান' ঝড়। মোট আয়ের পরিমাণ ২৪০.৪৭ কোটি। শুক্রবারের আয়ের পরিমাণ ১০৯.২৪ কোটি টাকা। ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শের পোস্ট অনুযায়ী, 'সুনামি, হারিকেন, টাইফুন... জওয়ান ছবি বক্স অফিসের দৈত্য, তৃতীয় দিনে (শনিবার) বাঁধ ভাঙা ব্যবসা... ইতিহাস তৈরি করল ছবি, সর্বোচ্চ তিন দিনের ব্যবসা (হিন্দি ভাষায়)... এখনও চতুর্থ দিন (রবিবার) বাকি, পিকচার অভি বাকি হ্যায়... বৃহস্পতিবার ৬৫.৫০ কোটি, শুক্রবার ৪৬.২৩ কোটি, শনিবার ৬৮.৭২ কোটি। মোট ১৮০.৪৫ কোটি।' উল্লেখ্য, এই হিসেব কেবলমাত্র ছবির হিন্দি ভাষার আয়ের। 


 






কথা রাখল 'মানবজমিন'


গতবছর মুক্তি পেয়েছিল শ্রীজাত (Srijato) পরিচালিত প্রথম ছবি 'মানবজমিন' (Manobjamin)। শ্রীজাত পরিচালিত প্রথম ছবি এটি, মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) ও প্রিয়ঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)। এই ছবিটির প্রযোজক ছিলেন রানা সরকার (Rana Sarkar)। এই ছবির প্রচারের সময়েই মেদিনীপুরে একটি অবৈতনিক বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছিলেন সমস্ত কলাকুশলীরা। আর বছর ঘুরে, সেই বিদ্যালয় তৈরির কাজ শেষের পথে! পর্দায় এক স্কুলের গল্প, পড়াশোনার জন্য লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরেছিল 'মানবজমিন'। আর সেই ছবির প্রচারের সময়েই মেদিনীপুরে একটি অবৈতনিক বিদ্যালয়ের শিলান্যাসের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারে, সেই উদ্যোগেই তৈরি করা হচ্ছিল এই স্কুল। সম্প্রতি রানা সরকার জানালেন, তাঁদের সেই স্কুল তৈরি প্রায় শেষের পথে। রানা সরকার জানিয়েছেন, স্কুল তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। সব ঠিক থাকলে, আর কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চারা বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে আসতে পারবে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ভরে উঠবে কচিকাচাদের কলতানে। এই উদ্যোগে রানা সরকার পাশে পেয়েছেন বিধায়ক জুন মাল্য চুনি কোটাল মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনকে।


 


 






আরও পড়ুন: Feluda: পরিচালক সন্দীপ রায় ও তাঁর দুই ফেলুদার জন্মদিন একই দিনে! সেটেই হল উদযাপন