কলকাতা: সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'রূপসাগরে মনের মানুষ' (Roopsagare Moner Manush)। ইতিমধ্যেই মানুষের মন জয় করতে শুরু করেছে এই ধারাবাহিক। ফের ছোটপর্দায় দেখা যাচ্ছে বাঙালির প্রিয় রুকমা রায়কে (Rooqma Roy)। কিন্তু কোন স্থানে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের গল্প? কোন দিকে মোড় নেবে গল্প? চলতি সপ্তাহে থাকছে কী কী ট্যুইস্ট?


'রূপসাগরে মনের মানুষ' গল্পে কোন মোড়?


অজস্র মানহানি, অপমান সহ্য করার পর পূর্ণা সিদ্ধান্ত নেয় যে সে গুনগুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। অনুসূয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। পূর্ণা যখন একেবারে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে তখন রূপ আসে এবং বলে যে সে নিজের বোন গুনগুনকে ছাড়া থাকতে পারবে না। অনুসূয়াও পূর্ণাকে অনুরোধ করে যাতে সে তার পরিবারকে ছেড়ে না চলে যায়। রাজি হয় পূর্ণা। থেকে যায় সে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি হয় না ছায়া, শুভ ও অঞ্জনা। 


এবার রাখি উৎসব। কিন্তু সেদিনও একের পর এক নাটক করতে ছাড়ে না ছায়া। সে এমনই এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যেখানে সে প্রায় জোর করে পূর্ণাকে দিয়ে রূপের হাতে রাখি পরিয়েই ছাড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কারণ পূর্ণার ওড়নায় আগুন ধরে যায় ও তার প্ল্যান ভেস্তে যায়। 


এদিকে আর্থিক তছরুপের পিছনে কার হাত এবং পূর্ণাকে কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সেই তদন্ত আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় না অনুসূয়া। কিন্তু গোটা গল্পটাই সে জানতে পেরে যায়। এই গোটাটাই ছিল শুভর ষড়যন্ত্র। রাখির দিনে রূপ তিতাসকে প্রবল অপমান করে। অত্যন্ত রেগে যায় তিতাস। সে তার মা ছায়া ও অঞ্জনার সাহায্যে বদলা নেওয়ার ফন্দি আঁটে। 


অন্যদিকে রূপ অবশেষে পূর্ণার বাবা ও মায়ের ছবি খুঁজে পায় এবং দু'জনকে দেখে যারপরনাই অবাক হয়। পূর্ণার বাবা-মায়ের দুর্ঘটনার দিনের কথা মনে পড়ে। তার এও মনে পড়ে যে সে পূর্ণার বাবা সতীনাথকে তার মেয়েকে দেখাশোনা করার কথাও দিয়েছিল।


আরও পড়ুন: Vikrant Massey: নতুন পরিচালকের হাত ধরে রাস্কিন বন্ডের গল্প থেকে ছবি, মুখ্য চরিত্রে বিক্রান্ত মেসি


'দেশের মাটি' এবং ' লালকুঠি', এই দুই ধারাবাহিকের অসামান্য সাফল্যের পর কিছুদিন বিরতি নিয়েছিলেন রুকমা রায়। ফের তাঁকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে 'রূপসাগরে মনের মানুষ' ধারাবাহিকে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial