কলকাতা: তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, পা মিলিয়েছিলেন মিছিলে। বক্তৃতা রাখলেন মঞ্চেও। আরজি করের মহিলাদের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কলকাতায় এসেছিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। আর সেখানে এসেই একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন তিনি, তেমনই তাঁর কথায় উঠে এল আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা। 


এদিন বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেন, 'আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আগে, গোটা দেশ প্রথমটা অপেক্ষা করেছিল। সবাই মনে করেছিল, সঠিকভাবে তদন্ত হবে। কিন্তু দেখা গেল, গোটা ঘটনাকে ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে লোকটার এই ঘটনায় দায় নেওয়ার কথা ছিল, তাকের পদন্নোতি করে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল। নির্যাতিতার মা-বাবাকে প্রথমে বলা হল, এটা আত্মহত্যা। এত দেরি করে এফআইআর হল। সুপ্রিম কোর্টও পশ্চিমবঙ্গের সরকারের একাধিক বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। আমি দেখলাম, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শাস্তি চেয়ে পথে নেমে পড়লেন। কার বিরোধীতা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? নিজেই নিজের? যখন মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের ছায়ার সঙ্গে প্রতিন্ধন্দ্বিতা করেন, তখন কিছু না কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। তখনই আমার মনে হয়েছে, এখানে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটাই তো ভারতের সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষদের রাস্তায় নামার সময়। রাস্তায় নামুন, এর সঙ্গে লড়াই করুন কারণ এটা আজকের সমস্যা নয়।'


বিবেক অগ্নিহোত্রী আরও বলেন, 'আমার আগামী ছবি তুলে ধরবে কীভাবে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসাকে চিরকাল আড়াল করা হয়েছে। যখন এখানে মুসলিম লীগ শাসন করত, তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মহিলাদের ওপর অত্যাচার, ধর্ষণকে একটা রাজনৈতিক অস্ত্রের মতো ব্যবহার করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে মহিলাদের ধর্ষণকে একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাশ্মীরেও আগে এটাই হত। এমন একজনও নারী নেই, যে বলবে আমি ভীষণ নিরাপদে রয়েছি। আর এটা কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের বিষয় নয়। একজন চিকিৎসক, যাঁকে আমরা ভগবান বলি, শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলের একটা হাসপাতালে তাঁকে ধর্ষিতা হয়ে খুন হতে হয়। সবচেয়ে দুঃখের কথা, এটা সেই মাটি, যেখান থেকে প্রথম সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়েছিল। এই মাটিতেই লেখা হয়েছিল, 'বন্দে মাতরম'। এই মাটি থেকেই সাহিত্য-সঙ্গীত লেখা হয়েছে যেখানে নারী স্বাধীনতা, নারীশক্তির কথা বলা হয়েছে। এই মাটিতে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন। এই উর্বর জমিকে রাজনীতি আর বন্ধা তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাকে ফের একবার নিজের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। 


আরও পড়ুন: Aman Sehrawat meets Dilip Joshi: 'তারাক মেহতা কি উল্টা চশমা'-র জ্যেঠালাল-এর সঙ্গে দেখা করলেন আমন, পেলেন বিশেষ উপহারও!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।