কলকাতা: বয়স যত বাড়তে থাকে, শারীরিক সমস্যাও ততই বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) কমতে থাকে। এর ফলে শরীরে নানা জীবানুর আক্রমণ  হয়। এই পরিস্থিতিতে অনেক জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরনো অনেক রোগ মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই এই সময়ে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। নিয়মিত চিকিতসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার। বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের তাই নিয়মিত কোন কোন স্বাস্থ্যপরীক্ষা (Medical Test) করানো দরকার, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের কোন কোন স্বাস্থ্যপরীক্ষা অবশ্যই করাবেন?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোলেই চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। আর তা বাড়তে থাকে বয়স যত বাড়তে থাকে, তত। বহু মানুষেরই চোখের সমস্যার জন্য গাড়ি চালাতে, বাড়ির সাধারণ কাজ করতে কিংবা বই পড়তে সমস্যা হয়। হতে পারে, কর্নিয়ার সমস্যা কিংবা গ্লুকোমা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্ত সমস্যা দেখা দেয়। তাই বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়মিত অবশ্যই চোখ পরীক্ষা করানো দরকার।


২. চোখের মতোই কানেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে বয়স বাড়লে। শ্রবণ শক্তিতে প্রভাব পড়ে এই সময়ে। নিয়মিত চিকিতসকের কাছে গিয়ে কানে সঠিকভাবে শুনতে পাচ্ছেন কিনা, তা পরীক্ষা করানো জরুরি। চিকিতসকের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনে হিয়ারিং এইডস ব্যবহার করা দরকার।


আরও পড়ুন - COVID Arm: 'কোভিড আর্ম'-এ আক্রান্ত হননি তো? নিজেই পরীক্ষা করে নিন


৩.  অনেকেরই জানা নেই, মাড়ির সমস্যা বা দাঁতের সমস্যা থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর বয়স বাড়তে থাকলেই দাঁতের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকতে দাঁতের চেকআপ করানো দরকার। দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ থাকলে ঝুঁকি কমবে হৃদরোগেরও।


৪. রক্তচাপের সমস্যা সমস্ত বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা দেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ আচমকা কমে গেলেও সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি।


৫. ত্বকের অনেক অসুখ হওয়ার ঝুঁখি থাকে। নিয়মিত ত্বক পরীক্ষা করানো দরকার।


৬. কোলন ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, স্তন ক্যানসার এবং অন্যান্য বিভিন্ন  প্রকার ক্যানসারের কোষগুলি শরীরে প্রভাব ফেলছে কিনা, তা জানার জন্য পরামর্শ নিতে হবে চিকিতসকের।


৭. অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে যে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রয়েছএ কিনা। নাহলেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মধুমেহ। আর যদি কারও মধুমেহ রোগ থেকেই থাকে, তাহলে তাঁর আরও বেশই করে মধুমেহ পরীক্ষা করানো দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।