কলকাতা : সম্প্রতি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার মতো তথ্য সামনে এসেছে। গত তিন দশকে ভারতে ডায়াবিটিসে (Diabetics) আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে ১৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। শিশু হোক বা বয়স্ক, টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ সবমহলে। তাই জারি হয়েছে নয়া সতর্কবার্তা। মাঝে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়াতেই করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় কো-মর্বিডিটির জেরে প্রাণ হারাতে হয়েছে অনেক ভারতীয়কে।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডায়াবিটিস
এই মুহূর্তে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিশ্বে সবথেকে বেশি পরিমাণ ডায়াবিটিস আক্রান্ত ভারতবর্ষে। দেশের প্রত্যেক ছ'জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। যে গতিতে ভারতে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা আইসিএমআরের (ICMR) ডিজি তথা চিকিৎসক বলরাম ভার্গবের। শুধুমাত্র উচ্চ উপার্জন যারা করেন তারাই নন, মধ্যবর্তী বা নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যেও বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়া।
জীবনযাত্রায় বদল দরকার
বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে যে হারে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আইসিএমআর। ডায়াবিটিস মুক্ত থাকতে চিন্তার বোঝা কমাতে ও শরীরচর্চা করার বিষয়ে বাড়তি জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শরীরচর্চার (Physical Exercise) জেরে ডায়াবিটিসের সুবাদে তৈরি হতে পারে এমন একাধিক ভিন্ন শারীরিক সমস্যাকে দূরে রাখা সম্ভব।
খাবার ধরণেও প্রয়োজন বদল
খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সারাদিনের ক্যালোরি ইনটেক (Calorie Intake) ৬ থেকে ৭ টা মিলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে আইসিএমআর। ৩ টি মেন কোর্স ও ৩ থেকে ৪ টি স্ন্যাকসের আকারে সারাদিনের খাবার খাওয়া ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খাবার ভাগে ক্যালোরি ভাগ করে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্রেকফাস্টে ২০ শতাংশ, লাঞ্চ ও ডিনারে ও ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আর প্রত্যেক স্ন্যাকসে ১০ শতাংশ করে ক্যালোরি ইনটেকে পরামর্শ চিকিৎসকদের।
(ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।)
আরও পড়ুন- বুকে ব্যথা মানেই 'গ্যাস' নয়, লক্ষণগুলো এড়িয়ে গেলেই বিপদ