কলকাতা: মধুমেহ (Diabetes) এমন একটি অসুখ, যা একবার শরীরে বাসা বাঁধলে চিরকাল বয়ে বেড়াতে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, মধুমেহ রোগ সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে ফেলার উপায় এখনও বেরোয়নি। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মধুমেহ (Blood Sugar) রোগীদের অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন হৃদরোগের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা, ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা কিডনির সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মধুমেহ রোগীরা অনেক খাবারই খেতে পারেন না রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার কারণে। শুধু ডায়াবিটিসের রোগীরাই নন, যাঁদের মধুমেহ নেই তাঁরাও অনেক খাবার খাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন, যাতে মধুমেহ দেখা না দেয়। শীতকাল (Winter) এসে গিয়েছে। এই সময়ে বাজারে অনেক প্রকারের ফল পাওয়া যায়। কোন কোন ফল (Fruits) এই সময়ে খেলে মধুমেহ দেখা দেবে না অথবা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রক্তে শর্করা বাড়বে না এই পাঁচ ফল খেলে-
১. আমলকি- বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মোরোব্বা, আ চার, চাটনি করেও আমলকি খেতে পারেন। আবার আমলকির রসও খেতে পারেন।
২. কমলালেবু- শীতকালে বাজার ছেয়ে থাকে কমলালেবুতে। এই ফল শুধু খেতেই দুর্দান্ত এমন নয়। এর উপকারিতাও অনেক। কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপও।
আরও পড়ুন - Salt: কতটা পরিমাণের বেশি নুন খেলেই রক্তচাপ থেকে স্ট্রেস বাড়তে পারে?
৩. আঙুর- শীতকালের ফল হিসেবে দারুণ উপকারী আঙুর। পাওয়াও যায় প্রচুর পরিমাণে। মধুমেহ নিয়ন্ত্রণ থেকে আরও অনেক উপকার করে আঙুর।
৪. কিউয়ি- টাইপ টু এবং টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী ফল কিউয়ি।
৫. আপেল- অ্যান অ্যাপেল এ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে। এই কথা সকলেরই জানা। আর আপেলের উপকারিতাও অনেক। তাই একাধিক রোগ প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন খেতে হবে আপেল।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।