কলকাতা: প্রতিটা ফলেরই কোনও না কোনও উপকারিতা রয়েছে। এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞরা। আম, কলা, কাঁঠাল, লিচু থেকে লেবু, নাসপাতি কিংবা আপেল। প্রতিটা ফলের উপকারিতা আলাদা আলাদা। তবে, সমস্ত ফলের মাঝেই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী বেদানা। বিশেষজ্ঞরা জানান, হৃদপিণ্ড সুস্থ রেখে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই ফল। স্বাস্থ্যের নানা উপকারের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক এবং চুলের জন্যও দারুণ উপকারী। কেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখবেন বেদানা, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেদানার উপকারিতা-
১. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বেদানা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফ্ল্যাভনয়েডস। যা প্রস্টেট ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। শরীরে ক্যানসারের কোষগুলি ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এই উপকারী উপাদান শরীরের বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩. হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বেদানা। এতে থাকা পলিফেনলস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রোজ খাবারের তালিকায় বেদানা রাখলে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ দূরে থাকে।
৪. মধুমেহ রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী বেদানা। প্রতিদিন বেদানার রস খেলে টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে শর্করার মাত্রাও সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৫. কিডনিতে পার জমার সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে বেদানা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রোজ খাবারের তালিকায় বেদানা রাখলে এতে থাকা উপকারী উপাদান কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন - Puffed Rice: জলখাবারে মুড়ি খাচ্ছেন? ঠিক করছেন তো?
৬. রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে দেয় না বেদানা। নিয়মিত বেদানা খেলে রক্তে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
৭. মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে বেদানা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের জন্য দারুণ উপকারী বেদানা। অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসনের মতো রোগকে দূরে রাখে উপকারী এই ফল। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মানসিক রোগকে দূরে রাখে।
৮. প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে বেদানা। হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবিটিস, ক্যানসার, অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৯. অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে বেদানাতে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।