কলকাতা: নিম একটি ওষুধি গাছ। যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। ঔষধিগুণে ভরপুর, শরীরের একাধিক সমস্য়া নিরাময় করতে নিমের ব্য়বহার অপরিহার্য।
আসুন জেনে নেওয়া যাক নিমের উপকারিতাগুলো-
নিমের গাছের উপকারিতা গুনে শেষ করা যায় না। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের খোসপাঁচড়া নিরাময় হয়। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। মাথার ত্বকে অনেক সময়ই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে নিম পাতায় রয়েছে বহু ওষুধের গুণাবলী। বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন হলো নিম পাতা কীভাবে খাবেন? সাধারণ খাবারের পর নিমের পানি পান করতে পারেন। এছাড়া নিম পাতা ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে। নিমের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহারের মাধ্যমে উকুনের সমস্যা দূর করা যায়। আবার নিম পাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
আরও পড়ুন...
'হাইড্রা ফেসিয়াল'- ত্বকের পরিচর্যায় এই বিউটি ট্রিটমেন্ট কতটা প্রয়োজন? উপকারিতাই বা পাবেন কী কী?
নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত মজবুত হয়। দাঁতের রোগও সারে। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিচুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হবে। স কমাতে সাহায্য করে।নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। নিমপাতার গুঁড়ো জলতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন