কলকাতা: সঙ্গে যাই থাকুক না কেন, সারাদিনে অনেকবার ভাত খেয়ে থাকেন বহু মানুষ। শুধু বাঙালিরাই নন, বহু মানুষই ভাত খেতে সাধারণত বেশ পছন্দই করেন। কিন্তু এই ভাত নিয়েই আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা।


বেশি পরিমাণে ভাত খেলে কী প্রভাব পড়ে?


গবেষকরা জানাচ্ছেন, বেশি পরিমাণে ভাত খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। তাঁদের মতে, চাষ করার সময়ই মাটি ও জল থেকে ধানের মধ্যে আর্সেনিক প্রবেশ করে। পরবর্তীকালে ধান থেকে চাল এবং ভাত হওয়ার সময়ও থেকে যায় আর্সেনিক। ভাত খেলে হয়তো খুব সহজেই পেট ভরে যায়। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


২. রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে বেশি পরিমাণে ভাত খেলে এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই যাঁদের মধুমেহর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে, তবেই ভাত খাওয়া প্রয়োজন।


৩. ভাতে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তাতে অত্যধিক ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই অবশ্যই পরিমাণ বুঝে ভাত খাওয়া দরকার।


আরও পড়ুন - Red Spinach: লাল শাক খাচ্ছেন? জানেন কী হতে পারে?


৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিনে বেশি বার ভাত খেলে ঘুম বেশি পেতে পারে। শরীরে এনার্জির মাত্রা কমে যেতে পারে। ভাত খাওয়ার পরই তাই ঘুমও বেশি পায়। এগুলো সবই হয় এতে থাকা ক্যালোরির পরিমাণের জন্য। মত পুষ্টিবিদদের।


তবে, এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ চাল- বাকি অঞ্চলে আতপ চালের চল থাকলেও বাংলায় সিদ্ধ চালই খাওয়া হয়। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনে ভরপুর সিদ্ধ চাল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। লাল চাল- লাল চালের উপকারিতা নানাবিধ। প্রথমত, লাল চালে প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে যা শরীরে প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা এবং সেরোটোনিন উৎপাদন করে। এতে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকায় খেতে খুব সুস্বাদু নয়, কিন্তু রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে লাল চাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। তাই স্বাদ অগ্রাহ্য করে খেতেই পারেন লাল চালের ভাত।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।