কলকাতা: হাসি, কান্না, দুঃখর মতোই আবেগের একটি রূপ রাগ (Anger)। কেউ বেশি রেগে যান। কেউ কম। বিশেষজ্ঞরা জানান, অত্যধিক রাগের কারণে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। পাশাপাশি হয় আরও অনেক সমস্যা। অনেকেই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। এর ফলে ঘটিয়ে ফেলেন অনেক বিপত্তিও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। রাগ নিয়ন্ত্রণের সহজ পদ্ধতিগুলি জেনে নিন।


রাগ নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়-


১. রাগের কারণগুলি বুঝে নেওয়া খুবই জরুরি। তবেই রাগ সংযত করা সম্ভব। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কী কারণে রাগ হচ্ছে সেই কারণগুলো জেনে রাখা দরকার। 


২. যদি কোনও পরিস্থিতিতে খুব রেগে যান, তাহলে সেই স্থান ত্যাগ করাই ভালো। রেগে গেলে সেই জায়গা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। কিছুক্ষণ একা থাকলে মেজাজ নিজে নিজেই শান্ত হয়ে যাবে।


৩. নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করা বন্ধ করা দরকার। যে বিষয়গুলি রাগের উৎপত্তি ঘটায়, সেগুলি এড়িয়ে চলুন।


আরও পড়ুন - Happy New Year 2023: কম খরচে দারুণ উপহার, নতুন বছরে প্রিয়জনদের হাতে তুলে দিন এগুলো


৪. প্রাণায়ম কিংবা যোগাভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে মস্তিষ্ক অনেক বেশি শান্ত থাকে। রাগের উৎপত্তিও ঘটায় না।


৫. চেনা পরিচিত বা প্রিয়জনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ চান যে কোনও পরিস্থিতিতে কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। 


৬. যদি কোনও কিছুতেই রাগ নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, তাহলে চিকিৎসক অথবা কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।


প্রসঙ্গত, জানেন আপনার এই আচরণ কোন মারাত্মক অসুখ ডেকে আসছে? সারাক্ষণ চিৎকার, চেঁচামেচি, মেজাজ হারানোর ফলে কোন মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন। আবার কেউ আবেগের বশেই মারাত্মক রেগে যান। কিন্তু যাঁরা মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারেন না কিছুতেই, তাঁদের জন্য আশঙ্কার খবর শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, সারাক্ষণ চিৎকার করা কথা বলা, চেঁচামেচি করা, মেজাজ ঠিক রাখতে না পারার অভ্যাস প্রভাব ফেলছে আপনার হৃদপিণ্ডে। নিজের অজান্তেই নিজের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছেন। কারণ, আপনার এই রাগ, মেজাজ শান্ত রাখতে না পারা, চিৎকার করার অভ্যাসই আপনাকে হৃদরোগের শিকার করে তুলতে পারে। এই সমস্ত আচরণগুলির জন্য বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।