কলকাতা: কথায় বলে, আগে দর্শনধারী, তবে গুণবিচারী। সেই কায়দাতেই একবার তাকালেই চোখ টেনে নেয় অনেক খাবার। খাবারের চেহারাই যেন চোখ কেড়ে নেয়। ফলে খাবারটি কিনে খেতেও ইচ্ছা করে। অনেকেই খান। কিন্তু এবার তো পরের ধাপের পালা। অর্থাৎ গুণ বিচারের পালা। রেস্তরা থেকে রাস্তার পাশের দোকানে এমন অনেক খাবার তৈরি হয়। এবং সেই খাবারগুলির মধ্যে প্রায়ই খাবারের রং মেশানো হয়ে থাকে। কিন্তু এই রং শরীরের জন্য ভাল না খারাপ ? খেলে পেট খারাপ না আদৌ কিছু হয় না পেটের ? কী বলছে বিজ্ঞান ?


খাবারে রঙের ইতিহাস


খাবারে রং মেশানো আধুনিক সময়ের বিজ্ঞাপনী কায়দা নয়। বহুকাল আগে থেকে খাবারে রং মেশানো হত। নজর কাড়ার এই কারবার বহুদিনের। কিন্তু প্রথম খাবারের কৃত্রিম রং বা ফুড কালার তৈরি হয় ১৮৫৬ সালে। ওই বিশেষ রংটি তৈরি করা হয়েছিল আলকাতরা দিয়ে। তবে এখন আর আলকাতরা ব্যবহার করা হয় না। বরং এই কাজে পেট্রোলিয়ামের বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে।


কী কী ধরনের রং খাবারে ব্যবহার করা হয় ?



  • অ্যালুরা রেড - এটি কালচে লাল রঙের হয়। সাধারণত, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ক্যান্ডি ও কিছু নির্দিষ্ট সিরিয়ালস (Cereals) খাবার রং করতে ব্যবহার করা হয়।

  • ইরিথ্রোসাইন - এটি চেরির মতো লাল রঙের হয়ে থাকে। এটিও ক্যান্ডি ও কেক সাজানোর বিভিন্ন জেলগুলির মধ্য়ে ব্যবহার করা হয়।

  • ইন্ডিগো কারমাইন - নীল রঙের দেখতে হয় এই ফুড কালার। আইসক্রিম, ক্যান্ডি, বিভিন্ন স্ন্যাকস রং করতে এটি কাজে লাগে।

  • ব্রিলিয়ান্ট ব্লু - ব্রিলিয়ান্ট ব্লু কিছুটা সবজে রঙের নীল হয়ে থাকে। একই কাজে লাগে এটি।


ফুড কালার শরীরের জন্য খারাপ ?


আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ইউরোপের ফুড সেফটি অথরিটির কথায়, বেশির ভাগ ফুডকালারই শরীরের জন্য নিরাপদ। তবে সেটির সঙ্গে অনেকেই সহমত নন। কারণ দেশ পাল্টালে ফুড কালার ব্যবহারের ধরন পাল্টে যায়। বরং একাধিক গবেষণায় ফুড কালারের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক দেখা গিয়েছে।



  • শিশুদের হাইপারসেনসিটিভিটি - কিছু শিশু অতিমাত্রায় অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফুড কালারের রাসায়নিক এর জন্য দায়ী। তবে এটি ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণ থাকে।

  • ক্যানসারের ঝুঁকি - স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফুড কালার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে গবেষণা এখনও সীমিত। 


আরও পড়ুন - Cyber Attack: সাইবার অপরাধীদের নজরে কিছু বিশেষ কিশোর ! কারা তারা, কেন ?