কলকাতা: ওজন কমাতে কিংবা ফিট থাকতে নাওয়া খাওয়া ভুলে সারাক্ষণই শরীরচর্চায় (Exercize) মেতে রয়েছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শরীরের উপকারের পরিবর্তে অনেকটাই ক্ষতি করে ফেলছেন। ফিট থাকার জন্য বা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শরীরচর্চা করা নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয়, কিন্তু পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখা দরকার যে, তা যেন কোনওভাবেই অতিরিক্ত না হয়ে যায়। অনেকেরই ধারণা রয়েছে, অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলেই বুঝি ফিটনেস ভালো থাকে। কিন্তু এই ধারণাকে একেবারেই নাকচ করে দিয়ে আয়ুর্বেদ (Ayurveda) বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, অত্যধিক শরীরচর্চা শরীরকে মোটেই সুস্থ রাখে না। তার পরিবর্তে পেশিতে টান ধরা বা অন্যান্য অনেকরকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এর ফলে। তাই তাঁদের পরামর্শ, আগে বুঝে নেওয়া দরকার যে শরীরের জন্য কতটা ব্যায়াম দরকার। তবেই তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।


আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে শারীরিক কসরতের মাধ্যমে হজমশক্তি বাড়ে এবং শরীরের প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিকভাবে সঞ্চালনা হয়, তাকেই শরীরচর্চা বলা হয়। পাশাপাশি তাঁরা এটাও মনে রাখতে বলছেন যে, খেয়াল রাখা দরকার, শরীরচর্চার সময়ে ঘাম নির্গত হয়। এর ফলে শরীর থেকে গ্লুকোজ বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি শরীরচর্চার ফলে আমাদের হৃদস্পন্দনের মাত্রাও বেড়ে যায়। তাই খুব নিয়ম মেনে তবেই শরীরচর্চা করা দরকার।


আরও পড়ুন - Peanut Benefits: চিনেবাদাম কি আদৌ বাদাম? চিনেবাদাম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আগে জানতেন না


তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, আমাদের প্রত্যেকদিনের রুটিনের একটা অংশ শরীরচর্চা। নিয়মিত অভ্যাস করলে অলসভাব কেটে যায়, সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগার সমস্যা দূর হয়, এছাড়া আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এক একটা বয়সের মানুষের জন্য শরীরচর্চার নিয়ম এক একরকমের। যাঁর বয়স কম তাঁর সঙ্গে বেশি বয়সের মানুষের শরীরচর্চার নিয়ম এক হবে না কখনওই। কম বয়সী বা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৌড়োদৌড়ি করা এবং খেলার মধ্যে দিয়েই শরীরচর্চা হয়ে যায়। তাই তাদের আর অতিরিক্ত শরীরচর্চার কোনও দরকার পড়ে না বলে মত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের।


আরও পড়ুন - Heart Attack Prevention: জীবনযাত্রায় যে সহজ পরিবর্তনগুলো করলেই কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি


বয়স্ক মানুষদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা খুবই সাধারণ ঘটনা। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে খোলা বাতাসে হাঁটার অভ্যাস এবং হালকা প্রাণায়াম কিংবা যোগাভ্যাসের মাধ্যমেই সুস্থ থাকা সম্ভব। যাঁদের মধ্যে হজমের সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদের খাওয়ার পর বজ্রাসন করারও পরামর্শ দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।