Ghee: শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য আমরা অনেক ধরনের টোটকা প্রয়োগ করে থাকি। বিশেষ করে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়ানোর জন্য দারুণ ভাবে কাজে লাগে এইসব ঘরোয়া টোটকা। শীতকালে ঘি (Health Benefits of Ghee) খেলেও আপনি বেশ কিছু উপকার পাবেন। শীতের মরসুমে (Winter Season) ঘি খেলে কী কী উপকার পাবেন সেগুলো একনজরে দেখে নিন।
শীতের মরসুমে ঘি খেলে কী কী উপকার পাবেন
- বদহজমের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র রাখা, এইসব কিছুই সম্ভব হয় ঘিয়ের মাধ্যমে। শীতের মরসুমে শরীর গরম রাখার জন্য ঘি একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাই রুটি বা সবজি কিংবা অন্য যে খাবার আপনি খাবেন তার সঙ্গে এক চামচ ঘি মিশিয়ে নিতে পারেন।
- ত্বক এবং চুল ও মাথার স্ক্যাল্প আর্দ্র অর্থাৎ ময়শ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে ঘি। শীতের মরসুমে আমাদের ত্বক, চুল, স্ক্যাল্প সবই ভীষণভাবে রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের খাবারে সামান্য ঘি যুক্ত করলে আপনার ত্বক, চুল ও স্ক্যাল্প inner nourishment পাবে। কারণ ঘি তৈরি হয় essential fats দিয়ে। আর এই essential fats ত্বক, চুল আর্দ্র রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণ।
- শীতের মরসুম মানে হাল্কা সর্দি, খুসখুসে কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। মরসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই হাঁচি, কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এক্ষেত্রে কাজে লাগে ঘি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ। তার জন্যই আপনার ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে খাবারে সামান্য ঘি মিশিয়ে খেলে শীতের মরসুমে উপকার পাবেন।
- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক জুস, যা অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করে।
সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র
- নিয়মিত শরীরচর্চা- প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করলে তবেই আপনি সুস্থ-সবল থাকবেন। সবসময় জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট করার প্রয়োজন নেই। রোজ সামান্য হাঁটাচলা, দৌড়ানোর পাশাপাশি যোগাসন করার অভ্যাস থাকলে আপনি উপকার পাবেন।
- খাওয়া-দাওয়ার প্রতি নজর- অস্বাস্থ্যকর খাবার মেনু থেকে বাদ দিন। ডায়েটে থাকুক স্বাস্থ্যকর খাবার। রোজের খাবারে একটা ফল রাখুন। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলতে পারলে উপকার পাবেন।
- পরিমিত জল খেতে হবে- সুস্থ থাকতে হলে সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এর ফলে আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকবে এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দেবে না।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।