কলকাতা: হঠাৎ করে চড়া রোদ উঠছে তো হঠাৎ করেই আবার ঝড়বৃষ্টি। এই অবস্থায় শরীর খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। সাধারণত এই সময় সর্দি কাশির ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তা হলে গলা ব্যথা, নাক থেকে জল পড়া লেগেই থাকে। কিছু ক্ষেত্রে গলা ব্যথার জেরে কথা বলতে অসুবিধা হয়। খাবার গিলতে সমস্যা হয়। গলা ব্যথা থেকে রেহাই পেতে কিছু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
গলা ব্যথা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া টোটকা (Sore Throat Remedies)
আদা চা - চাইলেই হাতের কাছে যেগুলি পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল আদা চা। আদার মধ্যে প্রদাহনাশী অর্থাৎ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। এটি গলা ব্যথা কমায়। এছাড়াও গলায় কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ হলে তার থেকে রেহাই দেয়।
নুন দিয়ে গার্গল করা - ঘরোয়া সমাধান হিসেবে অন্যতম সেরা হল গার্গল করা। রোজ দিনে ৩-৪ বার গার্গল করুন। এতে গলা ব্যথা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি গলার মধ্যে কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
মধু - মধু গলার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মধু খেলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া গলায় বাসা বাঁধতে পারে না। পাশাপাশি গলা ব্যথার সমস্যা থেকেও রেহাই দেয় মধুর গুণ।
বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল - বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল করলে গলার ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। গলার ব্যথা কমানোর পাশাপাশি এটি গলায় কোনও ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে তা থেকেও রেহাই দেয়।
মেথি চা - মেথি দিয়ে তৈরি চা-ও গলা ব্যথা কমাতে উপকারী। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি নানাধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। একই ভাবে এটি গলা ব্যথা থেকেও রেহাই দেয়।
পুদিনা চা - আদা চায়ের মতোই গলা ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর পুদিনা চা। পুদিনা চায়ের মধ্যে প্রদাহনাশী গুণ রয়েছে। এছাড়াও, এটি ভিতরে গিয়ে মেনথল উৎপাদন করে। যা থেকে মিউকাস অর্থাৎ কফ কমায়। পাশাপাশি কাশিও কমায়।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Volume Eating: ওজন কমাতে নয়া ট্রেন্ড ভলিউম ইটিং, মন ভরে যত ইচ্ছে খেলেই হবে ?