কলকাতা: প্রায় প্রতিটি খাবারেই কিছু না কিছু খনিজ পদার্থ থাকে। আর এই খনিজ পদার্থগুলি আমাদের শরীরের একাধিক উপকারে লাগে। শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়া বিক্রিয়া চালিয়ে যেতেই এগুলি দরকার। আর তেমনই একটি খনিজ পদার্থ হল জিঙ্ক। জিঙ্ক শরীরের বেশ কয়েকটি উপকারে লাগে।
শরীরের কেন জিঙ্ক প্রয়োজন ?
- ত্বকের সমস্য়া কমায় - ব্রণর সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। সেই সমস্যা নির্মূল করতে সাহায্য করে জিঙ্ক। তাই বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্যেও এটি পাওয়া যায়।
- দ্রুত ক্ষত সারায় - জিঙ্ক দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য় করে। এটি ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে বিশেষ ভাবে কাজ দেয়।
- থাইরয়েডের কাজ - থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলায়। আর এই থাইরয়েড হরমোনের একটি জরুরি অংশ হল জিঙ্ক।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে জিঙ্ক।
- স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি বজায় রাখে - যে কোনও খাবারের স্বাদ পাই নাক দিয়ে। গন্ধ পাই জিভ দিয়ে। এই দুই অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে জিঙ্ক।
কোন কোন খাবারে জিঙ্ক পাবেন ?
কুমড়োর বীজ - কুমড়োর বীজ উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস। তবে এর মধ্যে জিঙ্কও রয়েছে। শরীরের জিঙ্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে কুমড়ো খেতে পারেন।
ডাল - ডালের মধ্যে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ কম। পাশাপাশি জিঙ্কের পরিমাণ বেশি। তাই ডাল কমবেশি রোজকার খাওয়াদাওয়ায় থাকুক।
কাবলি ছোলা - ছোলা খাওয়া হলেও কাবলি ছোলা ঘন ঘন খাওয়া হয় না। তাই পাতে রাখতে পারেন কাবলি ছোলা। মাছ, মাংস না খেলে এটি খেতে পারেন। নিরামিষাশীদের জন্য কাবলি ছোলা জিঙ্কের সমৃদ্ধ উৎস।
কাজুবাদাম - কাজুবাদাম, কিসমিস রান্নায় দিলেও রোজ খাওয়া হয় না অনেকের। এটি পাতে রাখলে শরীরের আর জিঙ্কের অভাব হবে না।
ওটস - ওজন কমাতে অনেকেই ওটস খান। জিঙ্কের সমৃদ্ধ উৎস এই খাবার। নিয়মিত খেলে আর চিন্তা নেই।
দই - দুধ, দই বলতেই অনেকে পাগল। তেমনটা হলে দই নিয়মিত খেতেই পারেন। এর জিঙ্ক বেশ কিছু রোগ থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।
ডার্ক চকোলেট - বেশি সবজিপাতি খেতে ভাল না লাগলেও আর চিন্তা নেই। কারণ ডার্ক চকোলেট জিঙ্কের উৎস। তাই খাওয়াদাওয়ার মধ্যেই এটি রাখতে পারেন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Moong Dal Benefits: মেদ ঝরানো থেকে হার্ট সুস্থ রাখা, ৫ উপকার মুগ ডালের পদে