কলকাতা: সাবান দিয়ে নিয়মিত স্নান করার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু বডি ওয়াশ দিয়ে খুব কম জনই স্নান করেন। আসলে সাবান অনেক দিন ধরেই ব্যবহার করা হয়। ফলে তার থেকে একটা অভ্যাস হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একটাই সাবান সবাই ব্য়বহার করছেন। এই অভ্যাস কিন্তু আবার সমস্যার কারণ হতে পারে। এর থেকে সংক্রমণ সবার গায়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বডি ওয়াশ ঠিকমতো ব্যবহার করলে সেই আশঙ্কা কমে। 


বডি ওয়াশ নিয়ে প্রায়ই বেশ কিছু ভুল ধারণা থাকে অনেকের। সম্প্রতি একটি প্রসাধনী দ্রব্য বিপণন সংস্থা এই ভুল ধারণাগুলিই ভাঙিয়ে দিলেন। পরিবারের সবাই এটি ব্যবহার করতে পারেন। এমনটাও জানাল সেই সংস্থা।


বডি ওয়াশ নিয়ে প্রচলিত মিথ বা ভুল ধারণা 


১. বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান করতে গেলে শাওয়ার লাগে। সাধারণ বালতি মগ দিয়ে স্নান করা যায় না।


বডি ওয়াশ নিয়ে এই ভুল ধারণা অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু আদতে এটি ভুল। বালতি মগ দিয়েই অধিকাংশ ব্যক্তি স্নান করতে অভ্যস্ত। বডি ওয়াশ ব্যবহার করার পর বালতি মগ দিয়ে স্নান করা কোনও ব্যাপার নয়।


২. বডি ওয়াশ অনেকটাই খরচ হয়ে যায়।


অনেকেই ভাবেন এটা। আদতে সাবানের মতোই খরচ হয় এটি। বডি ওয়াশ তরল বলে বেশি লাগে এমন কোনও ব্যাপার নেই। বরং অল্প ব্যবহার করলেই বেশ ভাল কাজ হয়। সাবান বেশি চলে, বডি ওয়াশ কম দিন চলে, এমন ব্যাপার নেই।


৩. বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান করতে অনেকটা সময় লেগে যায়।


এই ধারণাও অনেকের রয়েছে। ওই বিপণন সংস্থার কথায়, এই ধারণা ঠিক নয়। বডি ওয়াশের ব্যবহার সাবানের মতোই। সাবান দিয়ে স্নান করতে যতক্ষণ লাগে, বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান করতেও ততক্ষণ সময় লাগে।


৪. বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান করতে গেলে গা ঘষার জালি লাগে


এটিও অন্যগুলির মতো ভুল ধারণা। সাবান গায়ে মেখে অনেকেই হাত দিয়ে গায়ের ময়লা সাফ করেন। বডি ওয়াশের ক্ষেত্রেও তা করা যায়। এর জন্য আলাদা করে গা ঘষার জালি লাগে না।


৫. পরিবারের সকলের জন্য বডি ওয়াশ নয়


এই ধারণাও ঠিক নয়। কারণ ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী, নানারকমের বডি ওয়াশের পাওয়া যায়। ত্বক বুঝে একটি ব্যবহার করলেই সাবানের মতো উপকার পাওয়া যায়।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


তথ্যসূত্র - আইএএনএস


আরও পড়ুন - Interim Budget 2024: সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের টিকা নিয়ে ঘোষণায় খুশি চিকিৎসকমহল ! কী বললেন বিশেষজ্ঞরা