কলকাতা: পছন্দ করেন তাই রোজকার পাতে বেগুন (Brinjal) রাখছেন? এই সব্জি স্বাস্থ্যের (Health) উপর কী কী প্রভাব ফেলে তা জানা আছে তো? বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনা পরিস্থিতির পরে সুস্থ থাকতে খাবারের তালিকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। নাহলে স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। যেকোনও ফল, সব্জি কিংবা খাবার খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া দরকার, সেই দ্রব্যটি স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে নাকি উপকারী।


স্বাস্থ্যের উপর বেগুনের প্রভাব- (Health Benefits Of Brinjal)


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সব্জি হিসেবে বেগুন খুবই উপকারী। পুষ্টির দিক থেকেও বেগুন গুরুত্বপূর্ণ এক সব্জি। বেগুনকে শীতকালীন সব্জি বললেও এটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, আয়রন, এবং জিঙ্ক।


২. মধুমেহ রোগীদের জন্য এই সব্জি দারুণ উপকারী। এছাড়াও ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে। গবেষকদের মতে, বেগুনে কোনওরকম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা কোনও রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন বেগুন। মধুমেহ রোগীদের জন্যও বেগুন খুবই উপকারী। এছাড়াও পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে।


৩. শরীরে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে বেগুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়ার রোগীরাও খেতে পারেন এই সব্জি। তাই মধুমেহ রোগী, হৃদ‌রোগী ও অধিক ওজনসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন বেগুন। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই উপকারী সব্জি। বেগুনে রয়েছে যে স্বাস্থ্যকর উপাদান, তা জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিভের ঘা প্রতিরোধ করে। 


৪. স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও চুল ভাল রাখে বেগুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ভিটামিন এ চোখে পুষ্টি জোগায়, চোখের যাবতীয় রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখকে মজবুত করে।


আরও পড়ুন - Health Tips: লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তনগুলি আনলেই অসুস্থতা দূরে থাকবে


৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এই উপকারী সব্জি। প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এতে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক। এছাড়া ডায়রিয়া হওয়ার পর দেহে যে জিঙ্কের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করে বেগুন। এর পাশাপাশি মাড়ি শক্ত করে মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে বেগুন। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো দাঁত, হাড় ও নখ শক্ত করে। মাড়িকে করে তোলে শক্তিশালী। ভঙ্গুর নখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।।


বেগুনের উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু বিষয়ে সাবধানও করে দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই বেগুন খাওয়া দরকার। বেগুন অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যাঁরা অ্যালার্জির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তাঁদের বেগুন না খাওয়াই ভালো।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।