কলকাতা: সাধারণত পুজোআচ্চার কাজে নিয়মিত ব্যবহার করা হয় কর্পূর।‌ তবে এর বাইরেও নানা কাজে লাগে এই বিশেষ উদ্বায়ী পদার্থটি। কর্পূর শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। স্বাস্থ্যের বেশ কিছু উপকারে লাগে কর্পূর। বিশেষজ্ঞদের কথায়, সিনামোমাম ক্যাম্ফোরা থেকে তৈরি এই নিয়তাকার পদার্থটি। ত্বকসহ শরীরের বেশ কয়েকটি উপকারে লাগে কর্পূরের বিশেষ গুণ। 


কর্পূরের নানা গুণ নানা ক্ষমতা


অ্যান্টিসেপটিক গুণ - কেটে বা ছড়ে গেলে ক্ষত থেকে সেপটিক হয়ে যেতে পারে। যার ফলে মানুষের প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে। কর্পূর অ্যান্টিসেপ্টিক। এটি কোনও ক্ষতকে সেপটিক হতে দেয় না জানান বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ওই ক্ষত সারিয়ে তুলতেও পারদর্শী কর্পূর।


ব্যথা কমাতে কার্যকরী - লোকাল অ্যানালজেসিক হিসেবে কাজ করে কর্পূর। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অঙ্গের ব্যথা কমাতে কার্যকরী এই অঙ্গটি‌।


অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ- কর্পূরের মধ্যে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। এটি প্রদাহের সমস্যা থেকে শরীরকে রেহাই দেয়। একাধিক ক্রনিক রোগের বড় কারণ এই প্রদাহ।


আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমায় - প্রদাহজনিত রোগের একটি বড় উদাহরণ হল আর্থ্রাইটিস। আর্থ্রাইটিসের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে কর্পূর‌। সাধারণ মলমের ঠান্ডা ও গরম ভাব ব্যথা দমিয়ে রাখে। এতে ব্যথার আসল কারণ দূর হয় না। কর্পূর সেই কাজ করে অনায়াসেই। 


ত্বকের যত্ন - ত্বকের একাধিক সমস্যার একটাই সমাধান কর্পূর। অনেকের ত্বকে জ্বালা জ্বালা হয়। এছাড়াও ত্বকের নানারকম ইরিটেশন থাকে। সেই ইরিটেশনগুলিকে দূর করে কর্পূর। 


ত্বকের অন্যতম উপাদান হল কোলাজেন‌। কোলাজেনের পরিমাণ ত্বকের নিচে যত বেশি থাকে, ততই ত্বক থাকে টান টান জেল্লাদার। কোলাজেনের অভাবে ত্বকের হাজার একটা সমস্যা হয়। তা থেকে মুক্তি দিতে পারে কর্পূর। কর্পূর ত্বকের নিচে কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়িয়ে দেয়।


চুলের যত্ন নেয় - ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নেয় কর্পূর। হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি জোগায় কর্পূরের তেল। চুল পড়া বন্ধ করে। চুলের গোড়া মজবুত করে চুল বাড়তে সা‌হায্য করে।


কাশি কমায় - কর্পূর তেল কাশি কমাতে বিশেষ উপকারী। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে কর্পূর ভেপার অর্থাৎ বাষ্প রাতের অনবরত কাশির সমস্যার সমাধান হতে পারে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Childhood Obesity: প্রেশার, সুগার কাবু করতে পারে ছোট্ট শিশুদেরও, ওবেসিটির বিপদ এড়াতে কী করবেন ?