কলকাতা: ওজনের সমস্যা শুধু বড়দের নয়, এখন শিশুদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। খুদে খুদে ছোট্ট সদস্যরাও এখন বেশি ওজনের সমস্যায় ভুগছে। যার ফলে একই শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সম্প্রতি এই নিয়েই এবিপি লাইভের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারের পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়োলজিস্ট চিকিৎসক শুভেন্দু মন্ডল।
কেন ওবেসিটিতে ভুগছে শিশুরা ?
শিশুদের মধ্যে ওবেসিটির কারণ হিসেবে বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরছেন প্রবীণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শুভেন্দু মন্ডল। তাঁর কথায় —
- ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই প্রবণতা মারত্মক। ওবেসিটির বড় কারণ।
- অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার যেমন কোল্ডড্রিঙ্কস, আইসক্রিম খুদেরা খেতে বেশ পছন্দ করে। যা খেয়ে ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ছে।
- তবে এসবের পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদি নিয়মিত ব্যায়াম করা যায়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপন তাতেও বাধ সেধেছে। মোবাইল, ইন্টারনেট, ট্যাবের যুগে কমে গিয়েছে খেলাধুলো।
- খেলাধুলোর অভ্যাস কমছে, অন্যদিকে শরীরচর্চাও সেভাবে করে না খুদেরা। ফলে স্বাস্থ্যের বিপদ বাড়ছে।
ওবেসিটি থেকে খুদে সদস্যদের কেমন বিপদ ?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যে যে সমস্যায় পড়তে পারেন একটি শিশু সেই সমস্যায় পড়ে যেমন ওবেসিটির কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যায়। যে সব শিশুর মধ্যে ওবেসিটি দেখা যায় তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস অনেক কম বয়সেই ধরা পড়ে। এছাড়াও হার্ট, পেটের সমস্যা, লিভারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে রোজকার অভ্যাসে কিছু বদল জরুরি। সে নিয়েও আলোচনা করলেন চিকিৎসক।
শিশুর ওবেসিটি সামাল দেওয়ার উপায় ?
চিকিৎসকের কথায়, অভ্যাসে কিছু বদল আনলে ছোট্ট বাচ্চাদের ওবেসিটির বিপদ থেকে রক্ষা করা যায়।
- ইনডোর গেম যেমন মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার, ট্যাব গেম যত কম খেলতে দেওয়া যায়, ততই ভাল।
- এর বদলে আইটডোর গেম অর্থাৎ দৌড়ঝাঁপ, ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে শিশুকে।
- শিশুদের ডায়েটে বিধিনিষেধ জারি করা মুশকিল। তাই খাবারে বেশি করে শাকসবজি দিতে হবে।
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের বদলে ফাইবার জাতীয় খাবার দিয়ে পেট ভরাতে হবে। এইধরনের খাবারে ওজন বাড়ে না।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health Update: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে অসুস্থ হন সদগুরু, কেন হয় এই রোগ ? বোঝার উপায় ?