কলকাতা: সুস্থ থাকতে লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। ওজন কমানোর জন্য কত মানুষ কত কিই না করে থাকেন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা (Exercise) করা থেকে ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন কমানোর আগে তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা খুবই জরুরি। নাহলে শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (WHO) পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকতে ডায়েটে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। ওজন কমাতে অনেকেই বলে থাকেন যে, দারুণ উপকারী ফল কলা (Banana)। সত্যিই কি তাই? কলা কি ওজন কমাতে (Weight Lose) সত্যিই সাহায্য করে? 


কলা খেলে কি ওজন কমে?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কলা রাখলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অন্যতম উপাদান হতে পারে কলা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। কলাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এছাড়াও পুষ্টিকর উপাদানে ভরা কলা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন জগিং, জিম কিংবা শরীরচর্চা করার আগে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন - Vegan: নিরামিষাশী হতে চাইছেন? এই টিপসগুলো মেনে চলুন


পুষ্টিবিদরা জানান যে, কলা খেতে পারেন মধুমেহ রোগীরাও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে এমন কোনও খাবারই মধুমেহ রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। একজন পুষ্টিবিদের মতে, কলা (Banana Benefits) সমস্ত মানুষের জন্যই দারুণ উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের নানা উপকার (Health Benefits) করে। অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অন্যান্য সমস্ত মানুষের মতো মধুমেহ রোগীদের জন্যও একেবারেই ক্ষতিকর নয় কলা। বরং, প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে কলা (Banana) খেতেই পারেন তাঁরা। পনিরের সঙ্গে কলা কিংবা স্প্রাউটের সঙ্গে কলা খেলে স্বাস্থ্যের নানা উপকার হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কলাতে যে পরিমাণ মিষ্টত্ব থাকে তা মধুমেহ রোগীদের শরীরে কোনও ক্ষতি করে না। বরং, শরীরে এনার্জি বৃদ্ধিতে এবং আরও অনেক উপকারে সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী মধুমেহ (Diabetes Patient) রোগীরা নির্দ্বিধায় কলা খেতে পারেন। তারপরও যেকোনও খাবার খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।