কলকাতা: কেউ আমিষ খাবার খেতে পছন্দ করেন। আবার কেউ পছন্দ করেন নিরামিষ খাবার খেতে। বহু মানুষই আবার আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষাশী (Vegan) হয়ে যান। রোজকার খাবারের তালিকায় এতদিন যাঁদের থাকত ডিম, মাছ, মাংস। সেখানেই এখন জায়গা নিচ্ছে শাক সব্জি কিংবা ফল মূল। আপনিও কি আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষাশী হয়ে যেতে চান? তাহলে এই টিপসগুলো মেনে চলুন।


নিরামিষাশী হতে চাইলে মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলো-


১. নিরামিষাশী ব্যক্তিদের পাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার। আমিষ খাবার থেকে যে পুষ্টি এতদিন পাচ্ছিলেন, সেই পুষ্টি একইরকমভাবে পেতে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে শাক সব্জি। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন বিনস, বাদাম, অ্যাভোক্যাডো, আখরোট, অলিভ অয়েল, শস্যদানার মতো উপাদান।


২. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আচমকা নিরামিষাশী হয়ে গেলে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। বুদ্ধির সঙ্গে সেই সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। 


৩. এটি এমন এক ধরনের খাদ্যাভ্যাস যেখানে কোনও প্রাণীজ খাবার খাওয়া হয় না। শুধু মাছ-মাংস, ডিম নয়। দুগ্ধজাতীয় সামগ্রীও এই ডায়েটে থাকে না। উৎস শুধুমাত্র উদ্ভিদ এমন খাবারই খাওয়া হয়ে থাকে।


আরও পড়ুন - Children's Health: স্কুলের কারণে স্ট্রেসের শিকার সন্তান? কীভাবে সমস্যা মুক্ত করবেন?


৪. একেবারে আচমকা সমস্ত আমিষ খাবার ছেড়ে দিলে সমস্যা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষ খাবারে মন দিন। প্রথম সপ্তাহে হয়তো ব্রেকফাস্টে নিরামিষ খাবার খেলেন। একটা সপ্তাহ পর দুপুরের খাবারের তালিকায় নিরামিষ খাবার রাখুন। এভাবে ধীরে ধীরে নিরামিষ খাবার আয়ত্ব করলে শরীরও সুস্থ থাকবে।


৫. সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকের দিনে প্রায় সমস্ত মানুষই অ্যাক্টিভ থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেগান কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাঁদের কাছ থেকে অনেক পুষ্টিকর নিরামিষ খাবারের সন্ধান পাবেন।


৬. অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তাই কিছুটা ধৈর্য ধরতেই হবে। তবে, খেয়াল রাখা দরকার নিরামিষ খাবার আপনি উপভোগ করছেন কিনা।


প্রসঙ্গত, Disease Activity Score-28 (DAS28) পরিমাপ করা হয়েছে। গাঁটের ব্য়াথা, গাঁট ফুলে যাওয়া এবং C reactive protein-এর উপস্থিতি পরিমাপ করা হয়েছে। এই পয়েন্ট ধরে বাকি সমীক্ষা হয়েছে। DAS28 বেড়ে গেলে আর্থারাইটিসের প্রাবল্যও বৃদ্ধি পায়। ৪৪জন সাবালককে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাঁদের আগে থেকেই রিউম্য়াটোয়েড আর্থারাইটিস রয়েছে। তাঁদের দুটো গ্রুপে ভাগ করে ১৬ সপ্তাহ ধরে গবেষণা চলেছে। দুটি গ্রুপকে আলাদা আলাদা ডায়েট চার্ট দেওয়া হয়েছে। একটি দল ভিগান ডায়েটে ছিল, আরও আনুষাঙ্গিক খাবার ছিল তাতে। অন্য় দলটির খাবারের ক্ষেত্রে বাধা ছিল না। এভাবে ১৬ সপ্তাহ পর দুটি দলের ডায়েট পদ্ধতি একে অপরের সঙ্গে বদলে ফেলা হয়। সেটি চলে ১৬ সপ্তাহ ধরে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভিগান ডায়েট চলার সময় DAS28-এর মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। যার ফলে ব্যথার প্রকোপও কমেছে। শুধু ব্য়থাই নয়, গাঁট ফুলে (Swollen joints) থাকার সমস্যাও অনেকটাই কমেছে বলে দেখা  গিয়েছে। ভিগান ডায়েট চলাকালীন শরীর ওজনও কমেছে, কমেছে LDL ও HDL কোলেস্টেরলের মাত্রাও।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।