কলকাতা: গ্রীষ্মকাল হোক কিংবা বর্ষাকাল অথবা শীতকাল। নানা কারণে পেটের সমস্যা (Stomach Problem) লেগেই থাকে। জীবানুর আক্রমণে পেট খারাপ, গা বমিভাবের মতো সমস্যা দেখা দেয় বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায় দশ হাজারেরও বেশি ধরনের জীবানুর হামলা হতে পারে অন্ত্রে। কিন্তু জানেন কি, এই রোজকার পেটের সমস্যা (Gut Problem) কোন শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে?


রোজ পেট খারাপের সমস্যা যে শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) খুবই জরুরি। যাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি থাকবে, তাঁর শরীরে ভাইরাসের আক্রমণ তত কম হবে। অথবা সেই ব্যক্তি তত কম অসুস্থ হবেন। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি পরিচিত হয়েছে। পুষ্টিবিদরা তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, রোগকার পেটের সমস্যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে? হ্যাঁ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন - Health tips: সারাদিনে কতবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা স্বাস্থ্যকর?


কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও বদহজম, কখনও আবার গ্যাস-অম্বল-চোঁয়াঢেকুর। পেটের সমস্যায় কম বেশি প্রত্যেকেই জেরবার। এক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময়ই কাজে দিতে পারে রান্নাঘরের চেনা উপকরণ। বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের কাছেও যেতে হয়। সেক্ষেত্রে ভরসা বলতে ওষুধ। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো প্রয়োজনে ওষুধ তো খেতেই হবে। কিন্তু পেটের সমস্যা অল্পেতেই নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনও উপায় কি একেবারেই নেই? হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময়ই দুরন্ত কাজে দিতে পারে রান্নাঘরের কিছু চেনা উপকরণ। প্রথমত, গরম জল পান। এতে দেহের যাবতীয় দূষিত বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যেতে সুবিধা, বিপাকের হার বাড়ে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে হার্বাল টি কাজে লাগতে পারে। বিশেষত, অ্যালোভেরা জাতীয় ভেষজ চায়ে মিশিয়ে পান করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও একটি জরুরি দিক হল খাদ্যাভ্যাস। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার এক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে। তা ছাড়া 'ফার্মেন্টেড' খাবারও দুরন্ত উপযোগী হতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রেখে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমায় এই ধরনের খাবার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।