কলকাতা: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল। আর শুরু হতে না হতেই দাম বেড়েছে ওষুধের। কিন্তু বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে ওষুধের দাম ১২ শতাংশ বেড়েছে। এমনকি ৫০০টির বেশি ওষুধের দাম (Medicine Price Hike) অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওষুধের দাম অনেকটা বাড়ানো হয়েছে, এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের ১২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির (Medicine Price Hike News) দাবিকেও মিথ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।


ওষুধের দাম বেড়েছে কিন্তু এতটা নয়


প্রসঙ্গত, ওষুধের দাম যে বাড়েনি তা নয়। দাম বেড়েছে। কিন্তু শতাংশের নিরিখে তা অনেকটাই কম। বরং গত বছরগুলিতে প্রায় ১২ শতাংশ মতো মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল ওষুধের দাম। সেই তুলনায় এবারের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই কম। যা আদতে ১ শতাংশেরও কম।


কেন বাড়ল ওষুধের দাম ?


ওষুধের দাম বাড়ানোর পিছনে একটি স্বাভাবিক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রতি বছরই এই দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলে। আর তা করা হয় হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের জন্য। এই ইনডেক্স অনুযায়ী, প্রতি বছরই দ্রব্যের দাম সংশোধন করতে হয়। চলতি বছরেও তা করা হয়েছে। তবে এই বছর ওষুধের দাম ০.০০৫৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।


শিডিউল ফর্মুলা ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে


২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডারস (DPCO) অ্যাক্ট অনুযায়ী, ওষুধের দুটো শ্রেণিবিভাগ হয়। একটি হল শিডিউলড ফর্মুলেশনস অন্যটি ননশিডিউলড ফর্মুলেশনস। DPCO ২০১৩-এর শিডিউল ১-এ যে ড্রাগ বা ওষুধের নাম রয়েছে, সেগুলি শিডিউলড ফর্মুলেশনস। আর যেগুলির নাম সেখানে নেই, সেগুলি ননশিডিউলড ফর্মুলেশনস। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী,  ওষুধ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি প্রতি বছরই এই ওষুধগুলির সর্বোচ্চ মূল্য সংশোধন করে। হোলসেন প্রাইস ইনডেক্সের ভিত্তিতে ওই সংশোধন করা হয়। চলতি বছরেও তা করা হয়েছে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির হার মোটেই ১২ শতাংশ নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।


আরও পড়ুন - Medicine Price Hike: ওষুধের দাম কমিয়েও ফের বাড়াল কেন্দ্র, কী হল হঠাৎ ?