কলকাতা: কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকটি কম্পোজিশনের ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাম বাঁধা হয়েছিল ওষুধগুলির। এর বেশি দাম রাখলে সংস্থাগুলিকে জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু সেই খবর দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলতে না ফেলতেই ফের চড়ল ওষুধের দাম। ২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার অনুযায়ী ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) এই মূল্যবৃদ্ধি করেছে। 


কোন কোন ওষুধের দাম বেড়েছে ?


ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)-এর তরফে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড, পেনকিলার (ব্যথার ওষুধ), ভিটামিন, প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল ও সর্দি-কাশির মতো নানা রোগের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনপিপিএ। 


দাম খুব বেশি না বাড়লেও বিপাকে অনেকে


এনপিপিএ-এর তরফে দাবি, দাম খুব একটা বেশি বাড়ানো হয়নি। বরং অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম দাম বাড়ানো হয়েছে। কতটা দাম বাড়ানো হয়েছে, তার একটি হিসেবও দিয়েছে এনপিপিএ। বলা হয়েছে, পুরনো দামের তুলনায় ০.০০৫৫১ শতাংশ দাম বেড়েছে এই অর্থবর্ষে। অন্যান্য বছরে দাম বেড়েছিল অনেকটাই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১২ শতাংশ হারে দাম বাড়ানো হয়েছিল ওষুধের। সেই তুলনায় এবারের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই কম বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু দরিদ্র মানুষের উপর এর ফলে চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 


রাজনৈতিক তরজা


ইতিমধ্যেই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘যাঁরা নিয়মিত কোনো ওষুধ খান, তাঁদের উপর আর্থিক চাপ বাড়বে। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুক।


কেন বাড়ল ওষুধের দাম ?


এই প্রসঙ্গে এনপিপিএ জানিয়েছে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের বদল ঘটেছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী মোট ৭২৬ রকম ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দাম পুরনো দামের থেকে ০.০০৫৫১% বেশি। খুব সামান্য হলেও বেড়েছে দাম। 


আরও পড়ুন - Roasted Chana: ব্রেন উন্নত করে ছোলার পুষ্টিগুণ, আর কী কী উপকার এতে ?