কলকাতা: পড়াশোনার মাঝেই হঠাৎ মাথাব্যাথা। কাজের মাঝেও এমন হয়। এরকমই মাঝে মাঝে মাথাব্যাথা ভীষণ সমস্য়া ফেলে দেয় অনেককেই। এটি মাইগ্রেনের একটি উপসর্গ (অবশ্যই সব মাথাব্যাথা নয়)।


বিশ্বে সারা দেশে মাইগ্রেনে ভোগা বাসিন্দা কম নেই। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, মাইগ্রেন (Migraine) একধরনের লাইফস্টাইল ডিজিজ, অবশ্য অন্য অনেক কারণেও হয়ে থাকে। হঠাৎ ভয়াবহ ব্যথা, তীব্র মাথাযন্ত্রণা এর উপসর্গ। অনেকসময়েই বাধ্য হয়ে বারবার ওষুধ খেতে হয়। অনেকক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী হয় মাইগ্রেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে পারে।


ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ হেডেক ডিসঅর্ডার (International Classification of Headache Disorders) তৃতীয় সংস্করণ অনুসারে, মাথাব্যথাকে ১৪টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন বাকিদের থেকে আলাদা। অনেকসময়েই কম মাথাব্য়থা থাকে প্রথম দিকে। পরে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে ব্যথা। প্রথমদিকে অনেক পরে পরে হলেও যতদিন যায় ততই ঘন ঘন হতে থাকে এই ব্যথা। দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।


কেন হয়?
বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম কারণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সাধারণভাবে স্থূলতা, অত্যধিক ক্যাফেইন খাওয়া, অনিয়মিত ঘুমে, মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে হতে পারে। নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি হারে মাইগ্রেনে ভোগেন বলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। ইস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোনের ওঠানামার কারণে মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।


অবহেলা নয়:
ডাক্তাররা বলে থাকেন, এই সমস্যাকে অবহেলা করা ঠিক নয়। সময়মতো রোগ-নির্ণয় এবং তার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে অনেকটাই সুরাহা মিলতে পারে মাইগ্রেন থেকে। ব্যায়াম, স্ট্রেস (Stress) কমানো, হাইড্রেটেড থাকা এবং ঠিক কী কারণে এবং কখন মাথাব্যথা হচ্ছে তা চিহ্নিত করার মাধ্যমে অনেকটাই সাহায্য হবে। মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে, ডাক্তারকে না দেখিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া একদমই উচিত নয়। তাতে বরং বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: বয়স ঠেকান মস্তিষ্কের, পাতে রাখুন এই খাবার