কলকাতা: রান্নায় একটু গোটা গরম মশলা মানেই স্পেশাল গন্ধ। আর এই গরম মশলার অন্যতম উপকরণ হল দারচিনি। দারচিনি ছাড়া গোটা গরম মশলা ভাবাই যায় না। তবে শুধুই কড়াই ও পাতে এই বিশেষ মশলার খ্যাতি নয়। এর বাইরেও স্বাস্থ্যের বেশ কিছু উপকারে লাগে এই মশলা।
দারচিনি (cinnamon benefits) আদতে গাছের ছাল। গাছের ছালকে মশলা হিসেবে ব্যবহার করার রীতি ভারতে বহু প্রাচীন। তবে এর স্বাস্থ্য গুণের কথাও বলে শেষ করার মতো নয়। প্রেশার থেকে ওজন, নিয়ন্ত্রণে রাখে নানা সমস্যা। একাধিক কঠিন রোগের উপশম ঘটায় দারচিনি। পাশাপাশি বেশ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণেও রাখে। নেপথ্যে রয়েছে এর মধ্যে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ (cinnamon nutrients)। কী সেগুলি দেখা নেওয়া যাক।
দারচিনির নানা উপকারিতা (Cinnamon Health Benefits)
ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় - ইনসুলিনের অভাবে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। দারচিনির পুষ্টিগুণ ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করে - রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণের অন্যতম জরুরি উপকরণ হল ইনসুলিন। আর এই ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকে বলেই সুগারের বাড়বাড়ন্ত হয়। ইনসুলিন বাড়িয়ে সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে দারচিনি।
হার্টের রোগ ঠেকায় - হার্টের রোগ ঠেকাতেও ওস্তাদ দারচিনি। এর পুষ্টিগুণ রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য বিপজ্জনক।
কোলেস্টেরল কমায় - রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। এর মধ্যে একটি হল ভাল, অন্যটি খারাপ। খারাপ কোলেস্টেরল হার্ট ব্লকেজসহ নানা রোগের জন্য দায়ী। দারচিনি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে।
প্রদাহনাশী গুণ - দারচিনির মধ্যে প্রদাহনাশী উপাদান অর্থাৎ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর - একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর দারচিনি। এটি কোশের মুক্ত মূলককে ধ্বংস করে। এর ফলে কোশের ক্ষতি হয় না। এর পাশাপাশি স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে দারচিনি।
ক্যানসার প্রতিরোধী - ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে দারচিনি। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে নষ্ট করে। এতেই ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - World Autism Awareness Day: অটিস্টিক শিশুরাও প্রতিভাবান, বিশ্ব অটিজম দিবসে কেন জরুরি সচেতনতা ?