কলকাতা: মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ছোট থেকে বড় সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। কেউ কেউ আবার স্মার্টফোন ব্যবহারে মারাত্মক আসক্ত থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, সারাদিন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পিঠে ব্যথা হয় মারাত্মকভাবে। এই সমস্যা এড়াতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়ে কীভাবে বসা প্রয়োজন, তা জানাচ্ছেন তাঁরা।


এইভাবে বসে মোবাইল ফোন ব্য়বহার করলে হবে না পিঠে ব্যথা-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়ে শুধুমাত্র আমাদের হাত কিংবা আঙুলই ব্যস্ত থাকে না। তার সঙ্গে যেমন ব্যস্ত থাকে আমাদের মস্তিষ্ক। তেমনই প্রভাব পড়ে পিঠে, শিরদাঁড়ায়, কোমরে, ঘাড়ে। দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে বসে মোবাইল ফোন ঘাঁটলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে এই সমস্ত অঙ্গে। অনেকেই সোজাভাবে বসে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেন। কিন্তু এই বসার ধরনটি একেবারেই সঠিক নয়। এর ফলে পিঠে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা এবং আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়ে ঘাড় বা মাথাটিকে যেকোনও দিকে একটু কাত করে রাখুন। তাতে আমাদের সারা শরীরে সমানভাবে ভারটা বজায় থাকবে। তবেই গাঁটে ব্যথা যন্ত্রণা, ঘাড়ে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরের ব্যথা এড়ানো যাবে। 


আরও পড়ুন - Health Tips: সুস্থ থাকতে রোজ দৌড়চ্ছেন? এই ভুলগুলো করছেন না তো?


তাঁরা আরও জানাচ্ছেন যে, আমাদের মস্তিষ্কের ওজন ৫ থেকে ৮ কেজি হয় সাধারণত। তাই যদি আমাদের মাথাটি যেকোনও দিকে একটু কাত করা থাকে, তাহলে শরীরের সমস্ত অঙ্গের ভারসাম্য বজায় থাকে। মাথা ঘোরা, বমিভাবের মতো সমস্যাও এড়ানো যেতে পারে এর ফলে।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গবেষকরা একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারী, স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারী এবং নানা ডিজিটাল জিনিসপত্র ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। একটি সমীক্ষা করা হয় সম্প্রতি। সমীক্ষাতে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা। সেখানে ১৮ থেকে ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিরা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিছুজনকে নানা ডিজিটাল জিনিসপত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল, স্মার্টওয়াচ ছিল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, যাঁরা স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল জিনিসপত্র ব্যবহার করেছেন তাঁদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়েছে যাঁরা ব্যবহার করেননি তাঁদের তুলনায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।