নয়াদিল্লি : ভয়ঙ্কর এক অসুখে আক্রান্ত কঙ্গো। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, রহস্যজনক এই অসুখে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের, দাবি সংবাদমাধ্যম সূত্রে। গত বছরের ডিজিজ এক্স এ ভয়ঙ্করভাবে নাকাল হয়েছিল কঙ্গো আর এবার আরেকটি রহস্যময় এবং মারাত্মক রোগে ত্রস্ত দেশটি। এই রোগ যেন সাক্ষাৎ যম-দূত। কয়েক ঘণ্টাতেই কাড়ছে প্রাণ। একে 'ক্রাইং ডিসিজ' বা 'কান্নার রোগ' বলা হচ্ছে। কঙ্গোর কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ছে অসুখটি । একবার এ রোগে ধরলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে রোগী, নিশ্চিত করেছে WHO। সূত্রের দাবি, ৬০ বছর বা তার কম বয়সী বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা তীব্র তৃষ্ণা অনুভব করছেন এই অসুখে। আর সংক্রমিত শিশুরা অবিরাম কেঁদেই চলেছে।
WHO কী জানিয়েছে
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আফ্রিকার এই দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৯৫৫ টি নতুন কেস ধরা পড়ে। সম্প্রতি World Health Organization-ও অসুখটি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। অদ্ভুত বিষয়, এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা করার সময়টুকুও পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে আক্রান্ত। আগের একটি বুলেটিনে দাবি করা হয়েছিল, বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, প্রথম যে শিশুটি আক্রান্ত হয়, সে একটি মরা বাদুড় খেয়ে ফেলেছিল। বাদুড় থেকে অসংখ্য সংক্রামক অসুখ হতে পারে। ইবোলা , করোনাভাইরাসের মতো অসুখের উৎসও সেই বাদুড়।
রহস্য রোগের লক্ষণগুলো কী কী? ভয়ঙ্কর এই উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথাব্যথা, কাশি, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। এই উপসর্গ কিন্তু ব্যতিক্রমী কিছু নয় । অনেক সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেই এমন উপসর্গ দেখা যায়।
WHO-র আফ্রিকা অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রত্যেকেরই সংক্রমণ বাদুড় থেকে কি না , এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যে বিষয়টা সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে তা হল, উপসর্গগুলি দেখা যাওয়া ও মৃত্যুর মধ্যে সময়ের ফারাক খুবই কম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত শিশুরাই।
আরও পড়ুন : পুলিশের জালে পুণে ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্ত