কলকাতা: সুস্থ থাকতে প্রত্যেকটা মানুষকে কত কিছুই না করতে হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা থেকে লাইফস্টাইলে নজর দেওয়ার দরকার হয়। তার উপর যাঁদের মধুমেহ থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি। কারণ, মধুমেহ (Diabetes) রোগের সম্পূর্ণ কোনও নিরাময়ের পদ্ধতি নেই। এই অসুখ একবার দেখা দিলে তা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে, খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল সঠিক রাখলে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিংবা রক্তে শর্করার (Blood Sugar) মাত্রা বজায় রাখতে লেবুর উপকারিতা অপরিসীম। কোন কোন পদ্ধতিতে রোজকার খাবারের তালিকায় লেবু (Lemon) যোগ করবেন, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে উপায়ে লেবু খাবেন-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমস্ত খাবারে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ছড়িয়ে দেওয়া সবথেকে সহজ পদ্ধতি। তাঁদের মতে, পাস্তা থেকে সাধারণ রোজকার তরকারিতে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। বিশেষ করে মধুমেহ রোগীদের জন্য। 


২. ওজন কমাতে বা মেদ ঝরাতে বহু মানুষই সকালে খালি পেটে লেবুর জল খেয়ে থাকেন। এই টোটকা শুধুমাত্র মেদ ঝরানোর জন্য যে উপকারী, এমনটা নয়। লেবুর জল খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে হালকা গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এই উপকারী পানীয়তে কোনওভাবেই চিনি কিংবা অন্য কোনও মিষ্টি মেশাবেন না।


আরও পড়ুন - Dogs Health: কুকুরকে আঙুর কিংবা কিশমিশ খেতে দিচ্ছেন? খেয়ে ফেললে কী হবে জানা আছে?


৩. স্ট্রেস মুক্ত রাখা থেকে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জলের গ্লাসে লেবুর টুকরো ফেলে সেই জল খেতে পারেন।


৪. স্যালাডেও লেবুর টুকরো ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা, স্যালাডের উপর লেবুর রস ছড়িয়ে নিতে পারেন। স্বাদও বাড়বে আবার স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।


৫. আলু, বিট সেদ্ধ করে তার মধ্যে লেবুর রস ছড়িয়ে খেতে পারেন। অনেকেই সন্ধ্যের জলখাবারের এটি খেয়ে থাকেন। শুধু তার মধ্যে লেবুর রস যোগ করে নিন। স্বাদও দারুণ। আলু, বিট ছাড়া ভুট্টার দানা সেদ্ধ কিংবা ভাজাতেও এটি ব্যবহার করা যায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।