কলকাতা: শরীর সুস্থ রাখতে গেলে নজর দিতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। দিনভর ডায়েটে কী কী থাকল তার উপর নির্ভর করে অনেককিছুই। যদি তার মধ্যেও বিশেষ করে কোনওকিছুতে গুরুত্ব দিতে হয় তাহলে সেটা ব্রেকফাস্ট। দিনের শুরুতে পেট ভরে খেতে বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই খাবার হতে হবে পুষ্টিসমৃদ্ধ। সারাদিনের এনার্জির অধিকাংশ মেলে স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট থেকে। Gut Health বা সামগ্রিক পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে নজর দিতেই হবে ব্রেকফাস্টের মেনুতে। কী কী রাখতে হবে?
চাই প্রচুর ফাইবার:
পেট ভাল রাখতে গেলে ভরসা ফাইবারই। হজমপ্রক্রিয়া ভাল রাখে। পাচনতন্ত্রে থাকা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও অপরিহার্য ফাইবার। ফাইবার পেতে কাজে দেবে ওটস। খাওয়া যেতে পারে ভুট্টা বা ছোলাও। সঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকুক বিভিন্ন বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার।
প্রোবায়োটিকে লাভ:
পেটের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন প্রোবায়োটিক। মানবদেহের পাচনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা ওই ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করবে। দই খেলেই সবচেয়ে সহজে প্রোবায়োটিকের জোগান মিলবে। দই বা ইয়োগার্টের সঙ্গে নানা শস্য মিশিয়েও খাওয়া যায়।
শাক-সব্জির সমাহার:
বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ, পুষ্টিপদার্থ এবং ফাইবার--সব পাওয়া যায় সব্জি থেকে। সেই কারণেই ব্রেকফাস্টে সব্জি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। সব্জিতে পলিফেনলও (polyphenol) থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়া এবং ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা রুখতেও সাহায্য করে। পালংজাতীয় শাক, অঙ্কুরিত ছোলা সবসময়ের জন্যই ব্রেকফাস্টের মেনু হতে পারে।
রাখতেই হবে ফল:
যাবতয় ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান পেতে ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে ফল। ফ্যাট বা ক্যালোরি কম থাকে ফলে। ভিটামিন সি ও অন্য নানা ধরনের ভিটামিন, ফোলেট (Folate), পটাশিয়ামের মতো খনিজ পাওয়া যায় ফলে। ফলে থাকা ফাইবার পেট সাফ রাখতেও সাহায্য করে। অধিকাংশ সময়েই ব্রেকফাস্টে জায়গা পায় আপেল, কলা, নাশপাতি। তার সঙ্গে পেয়ারা, পেঁপে এবং বেরিজাতীয় ফল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা প্রয়োজন ব্রেকফাস্টে। অনেকে ফলের রস খান। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, রস খেলে বাকি পুষ্টি মিললেও বাদ চলে যায় ফাইবার।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের জের, প্রায় দেড় হাজার ই-স্কুটার ফেরত নিচ্ছে ওলা