কলকাতা: ফোন হাজার একটা ক্ষতি করে। এমনকি গুরুতর রোগও ডেকে আনে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই এই কথা বলে থাকেন। কিন্তু একই সঙ্গে বহু উপকারে লাগে ফোন। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমোতে গেলে তবে শেষ হয় এই উপকারের তালিকা। উপকারের পাশাপাশি বেশ কিছু অপকারের দিক প্রায়ই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। তেমনই একটি হল ক্যানসার। ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি কি বাড়িয়ে দিতে পারে ফোন ? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা ? দেখে নেওয়া যাক।
কেন ফোনকে কালপ্রিট ভাবা হচ্ছে ?
এতকিছু থাকতে ফোন থেকে ক্যানসার হতে পারে - এমনটা ভাবার কারণ কী ? বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফোন কাজ করে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে। অর্থাৎ তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে ফোনের মধ্যে। এই তরঙ্গ কোশের ক্ষতি করতে পারে। নষ্ট করে দিতে পারে কোশের ডিএনএ। আর তা একবার হলেই ক্যানসার দেখা দিতে পারে।
ফোনের তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ কতটা ক্ষতিকর ?
ফোনের থেকে তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ নির্গত হলেও সেটা কতটা ক্ষতি করে ? এর জন্য জানতে হবে কত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গ আদতে ফোন থেকে বেরোয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ২জি, ৩জি ও ৪জি ফোন থেকে কমবেশি ১.৯ থেকে ২.২ গিগাহার্জ তরঙ্গ বেরোয়। আর কিছু দিন পর বাজারে ৫জি ফোন আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা বেড়ে যাবে রেডিয়েশন অর্থাৎ বিকিরণ। কিন্তু এই সবকটি তরঙ্গদৈর্ঘ্যই আদতে ননআয়নাইজিং রেডিয়েশন অর্থাৎ নিরাপদ তরঙ্গ। ফলে এর থেকে কোশের ডিএনএ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। যার ফলে ক্যানসারের ঝুঁকিও নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে ?
ফোন থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে কি না তা একাধিক গবেষণা হয়েছে। সাধারণভাবে বিজ্ঞান বলছে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। অন্যদিকে কিছু গবেষণারও মত তাই। ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের একটি সূত্রের দাবি, ক্যানসারের সঙ্গে ফোনের কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে জীবনযাপনে যে বদল আসছে, তাতে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে যায়। শুধু ওবেসিটিই একাধিক ক্যানসারের কারণ হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণাতেই দাবি, ক্যানসারের ঝুঁকি নেই। তবে ২০০৮ সালে এনভারনমেন্টাল হেলথ প্রসপেক্টিভের একটি গবেষণা বলছে গ্লিওমাস বা ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমারের সঙ্গে ফোন ব্যবহারের সূত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে ক্যানসারের ঝুঁকির তত্ত্ব খাড়া করতে হলে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - Health News: ঘড়ি ধরেই নাকি বদলায় মেজাজ ! আপনার কখন মন ভাল থাকে ?