Honey Benefits: স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অনেকেই মধু খান প্রতিদিন। সর্দি-কাশির সমস্যা এড়াতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোন ধরনের চামচে মধু খাওয়া ভাল, কাদের মধু খাওয়া উচিত নয় এবং বেশি পরিমাণে মধু খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক। 


স্টিলের চামচে মধু খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ? 


প্রায় সব বাড়িতেই স্টিলের চামচে মধু খাওয়া হয়। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ ভাল নয়। কারণ স্টিলের চামচ যেহেতু একটি ধাতব উপকরণ, তাই মধুর সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। অনেকেই মধুর শিশি কিংবা পাত্র স্টিলের চামচ ডুবিয়ে রেখে দেন। এই অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় কারণ মধুর সঙ্গে স্টিল মিশে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটালে এবং সেই মধু কেউ খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হবে না। মধু রাখার ক্ষেত্রে কাচের পাত্র কিংবা শিশি ব্যবহার করাই ভাল। 


কাদের মধু খাওয়া উচিত নয় ? 


বাচ্চাদের অনেকেই মধু খাওয়ান। বিশেষ করে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়ানোর জন্য। তবে এক বছরের কম বয়সীদের কিন্তু মধু খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়। এর জেরে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের দৈহিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিনি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। শরীরে দেখা দেয় অন্যান্য আরও অনেক সমস্যা। তাই অনেকেই ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে চিনির পরিবর্তে মধু খেয়ে থাকেন। তবে ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে তাঁরা মধুও কম পরিমাণে খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। 


বেশি পরিমাণে মধু খেলে কী কী সমস্যা বাড়তে পারে ? 


পেটের সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁরা নিয়মিত মধু না খাওয়াই ভাল। রোজ মধু খেলে বাড়তে পারে পেটে ব্যথার সমস্যা। বেশি পরিমাণে মধু খেলে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। তার জেরেও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁরা দিনে এক চামচের বেশি মধু না খাওয়াই ভাল। 


আরও পড়ুন- পড়াশোনায় মন বসে না? ছোট ছোট নিয়মেই বাড়বে একাগ্রতা 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।