Environment Pollution: ‘নিজেই নিজেকে থাপ্পড় মারি’। কথা বলতে বলতে এবিপি লাইভের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে হঠাৎ এমন একটি কথা বললেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। যা শ্রোতা বা এই লেখার পাঠককেও একটা জোর ধাক্কা দেবে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে কেন নিজের হাতে নিজেকে একটি বা দুটি থাপ্পড় খান সুভাষবাবু। তাঁর কথায়, বিদ্যুৎ অপচয় করেন বলে। বাথরুম থেকে বেরিয়ে লাইট নেভাতে ভুলে গেলে নিজেকে এভাবেই শাস্তি দেন তিনি। পৃথিবী রক্ষার জন্য বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করার পাশাপাশি গাছ বাঁচানোর দিকেও জোর দিচ্ছেন তিনি।


গাছ লাগানোর থেকে জরুরি গাছ রক্ষা


গাছ রক্ষা করা বিশেষভাবে জরুরি বলে জানাচ্ছেন সুভাষ দত্ত। যে পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে, তার জেরেই ক্ষতি হচ্ছে পৃথিবীর। একই সঙ্গে তিনি সমালোচনা করলেন বনদফতরের ইকোটুরিজম প্রকল্পের। বনের মধ্যে কিছু দিন সময় কাটিয়ে যাওয়ার জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে বনদফতর। পর্যটকদের পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে গিয়ে ক্ষতি করা হচ্ছে বনজঙ্গলের। যা আসলে বনাঞ্চলের ক্ষতি বলেই মনে করেন তিনি। 


সূর্যের তাপকে কাজে লাগানো হোক


গরমের জেরে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এ কথা মানছেন পরিবেশবিদ। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিতে চান, এই কঠোর তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বাড়িতে সোলার প্যানেল ছিল। কিন্তু তখনও আমরা এর ব্যবহার শিখিনি। অন্যদিকে তাঁর কথায়, জল সংরক্ষণও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


‘জল নিয়ে হতে পারে পরবর্তী বিশ্বযু্দ্ধ’


তেল বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দামি পদার্থ। কিন্তু তেল নয়, পরিবেশবিদের কথায়, পানীয় জল নিয়ে পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধ বাঁধতে পারে। তাই সময় থাকতেই জল সংরক্ষণের দাবি তুলছেন তিনি। তাঁর কথায়, আজ থেকে ১৬ বছর আগে মাটির নিচে জলের মাত্রা নেমে গিয়েছিল প্রায় ৩৪ ফুট। তাহলে বর্তমান অবস্থা কী হতে পারে ! পৌরসভা থেকে জল সরবরাহ মোটেই বিনামূল্যে হয় না, সেই কথাও মনে করিয়ে দিলেন পরিবেশবিদ। তাঁর কথায়, প্রতি এক লিটার জল পরিশোধনের জন্য ৩০-৩৫ পয়সা খরচ হয়। ফলে বিনামূল্যে কিছুই হয় না বুঝতে হবে। বরং অনিয়ন্ত্রিতভাবে খরচ করলে আরও বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন -  Environmental Pollution: ‘নিজেদের ঠাণ্ডা রাখতে পৃথিবীকে করছি উষ্ণ, প্রকৃতিমাতার উপর নৃশংস অত্যাচার করছি’