কলকাতা: সকাল সকাল ঘুম ভাঙতেই প্রচণ্ড পেট ব্যথা। কারণ পেট ফুলে ঢোল হয়ে থাকে। সমস্যা আর কিছুই না। পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে বায়ু জমে থাকার ফলেই এমনটা হয়। সারা রাত ধরে আমাদের পাচনতন্ত্র খাবার হজম করে। তখনই এই বিপুল পরিমাণ বায়ু বা গ্যাস তৈরি হয়। অন্যদিকে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা থাকলে এই সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না। অনেকে এর জন্য বিভিন্ন খাবারের উপর ভরসা রাখেন। সকাল বেলা এগুলি খেয়েই পেটের অতিরিক্ত বায়ুর যন্ত্রণা থেকে রেহাই পান। কিন্তু রাতের একটি শোওয়ার ভঙ্গিও এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। ওই নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে শুলে পেটে অন। কী সেই শোওয়ার ভঙ্গি? এই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করলেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট চিকিৎসক প্রদীপ্তকুমার শেট্টি


কীভাবে শুলে পেট ফোলাভাব কমে?


বিশেষজ্ঞদের কথায়, বাঁদিক ফিরে শুলে পেটের ফোলাভাব অনেকটাই কম হয়। এই বিষয়েই সায় দিলেন চিকিৎসক প্রদীপ্তকুমার। তাঁর কথায়, ‘এর জন্য পাকস্থলির আকার বোঝা জরুরি। আমাদের খাদ্যনালি পাকস্থলিতে গিয়ে মিশেছে। খাদ্যনালিটি মেশার পরেই পাকস্থলির একটি অংশ উপরের দিকে বাঁক খেয়ে উঠে গিয়েছে। খাবার খেলে পাকস্থলির নিচের অংশ ধীরে ধীরে পূরণ হতে থাকে। এই সময় পেটে জমে থাকা বায়ু এই উপরের অংশে উঠে যায়। ওই অংশটিতে বায়ু আটকে থাকে (ট্র্যাপড হয়ে থাকে)।’


‘এর পর খাবার হজমের সঙ্গে সঙ্গে এই বায়ুর পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে পেট ফুলতে শুরু করে। চিকিৎসকের কথায়, বামদিক ফিরে শুলে এই বায়ু হিসেবমতো উপরের দিকে উঠে আসে। অর্থাৎ ডানদিকে সরে আসে। ডানদিকে সরে এলেই এই বায়ু বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পথ পেয়ে যায়। কোলন ও খাদ্যনালি দিয়ে বায়ু বেরিয়ে আসতে পারে।’ এর ফলে ততটা ফোলাভাব আর থাকে না ঘুম থেকে ওঠার পর। 


বামদিক ফিরে শোওয়ার আরও সুবিধা


শুধু যে পেটের ফোলাভাব কমায়, তা নয়। বরং পেট পরিষ্কার করতেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের পেটের ভিতর কোলনে খাবার পাচিত হয়। এর পর সেটি মলে পরিণত হয়। সেই মল ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে বৃহদান্ত্র অর্থাৎ লার্জ ইনটেস্টাইনে পৌঁছয়। বামদিক ফিরে শুলে পৃথিবীর অভিকর্ষ টানে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে বৃহদান্ত্রে এই যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে পেট সহজেই সাফ হয়ে যায়।


আরও পড়ুন: Sprouted Potato: অঙ্কুরিত আলু খাচ্ছেন ? শরীরের ভিতরে গিয়ে কী করে এটি