কলকাতা: বিবাহবন্ধন যতটা আনন্দদায়ক ঠিক ততটাই বেদনার বিবাহবিচ্ছেদ (Divorce)। আমাদের চারপাশে বহু মানুষের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ দেখা যায়। সঠিক কী কারণে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিয়েছেন, তা একমাত্র তাঁরাই বলতে পারবেন। কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যখন স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়, তখনই তা বিবাহবিচ্ছেদে পরিণত হয়। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে অনেক কিছুই জানান মনোবিদরা। 


কী কী কারণে বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যখন স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়, যেমন যদি তাঁদের কখনও মতের মিল না হয়, যদি সারাক্ষণই ঝগড়া হয়, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে।


২. একটা সম্পর্ক তখনই সঠিক থাকে, যখন সেখা কোনও প্রতিশ্রুতি থাকে। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ যখন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন, তখন বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


৩. বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে যদি স্বামী কিংবা স্ত্রী জড়িয়ে পড়েন।


৪. স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে যদি সঠিক শারীরিক সম্পর্ক না থাকে, তাহলেও বিবাহবিচ্ছেদ দেখা দিতে পারে।


আরও পড়ুন - World Diabetes Day 2021: কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন মধুমেহ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন?


৫. অনেক সময়ই বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে কখনও মতের মিল হয়নি। কিংবা খুব অল্প কথাবার্তা হয়।


৬. গার্হস্থ হিংসাও বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।


৭. স্বামী কিংবা স্ত্রী যদি একে অন্যকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করেন, তাহলে তাও বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।


৮. সম্পর্কে ভালোবাসার অভাব।


৯. অত্যধিক মদ্যপানও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।


১০. অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী স্ত্রী একে অপরের থেকে দীর্ঘদিন বহু দূরে থাকার কারণেও বিবাহবিচ্ছেদ দেখা দিতে পারে।


১১. খুব অল্প বয়সে বিবাহ করলেও পরবর্তীকালে বিবাহবিচ্ছেদ দেখা দিতে পারে।


১২. স্বামী-স্ত্রী যতক্ষণ না একে অপরের সঙ্গে নিজেদের মনের ভাব বিনিময় করছেন, ততক্ষণ কোনও সম্পর্ক মজবুত হয় না। তাই ভাব বিনিময়ের অভাবও বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।


১৩. সম্পর্কে প্রতারণা।


১৪. আর্থিক সমস্যাো অনেক সময় বিবাহবিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে।


মনোবিদরা জানাচ্ছেন, এমন কোনও সমস্যা যদি সম্পর্কে বুঝতে পারেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। দরকারে কাউন্সিলিংও করাতে পারেন কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।