কলকাতা: ভেতো বাঙালির পান্তা ভাতও কম প্রিয় নয়। অনেকেই এই ভাত খেতে ভালবাসেন। পান্তা ভাত নানাভাবে খাওয়ার অভ্যাস এখনও প্রচলিত রয়েছে। সাধারণত গেঁজিয়ে তৈরি করা হয় পান্তা। তবে এটি শুধু পেট ভরায় না। পান্তা খেলে শরীরেরও নানা উপকার। কী সেগুলি?
পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ (Fermented Rice nutrients) :
পান্তা ভাতের (Panta bhat) মধ্যে ফেনোলিক, লিনোলেয়িক অ্যাসিড, ফাইটোস্টেরল, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি১২, অ্যান্থোসায়ানিন, ফ্ল্যাভনয়েডস রয়েছে। এই উপাদানগুলি একদিকে যেমন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, তেমনই অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও।
পান্তা ভাত খেলে যা যা উপকার (Fermented Rice Benefits) !
- কাজ করার শক্তি জোগায়: পান্তা ভাত কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় এই ভাত। দুর্বল লাগলে তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। শারীরিক শ্রম করার শক্তি জোগায় বলেই অনেকে পান্তা ভাত খেয়ে কাজ করতে যান।
- ত্বকের যত্ন নেয়: ত্বকের জন্যও পান্তা ভাত (panta bhat health benefits) উপকারী। কারণ এর মধ্যে ভিটামিন ই ও বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের জেল্লা অটুট রাখে।
- চুলের খেয়াল রাখে: ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নেয় পান্তা ভাত। কারণ ওই ভিটামিন ই, ফ্ল্যাভনয়েডস।
- কোলেস্টেরল কমায়: পান্তা ভাত গেঁজিয়ে তৈরি বলে একে ফার্মেন্টেড রাইসও বলে ইংরেজিতে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়রিয়া রোধ করে: ডায়রিয়া হলে বারাবার টয়লেট ছুটতে হয়। পেট খারাপের ঠেলায় সারাদিন নষ্ট। পান্তা ভাত ডায়রিয়ার সমস্যা ঠেকায়।
- ক্লান্তি দূর করে: এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ রয়েছে। এই বিশেষ উপাদানটি ক্লান্তি দূর করতে ওস্তাদ।
- পেট ভাল রাখে: পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি পান্তা ভাত পেট সাফ করে। এটি প্রোবায়োটিক খাবারের মতোই কাজ করে। তাই পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়ার মতো খাবার হজম করায়।
পান্তা ভাতের রেসিপি (Fermented Rice recipe)
এই রেসিপিটাই হয়তো সবচেয়ে সহজ। আগের দিন রাতে ভাতে জল ঢেলে রেখে দিতে হয়। অন্তত ১২ ঘন্টা এভাবে ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি পান্তা। খাওয়ার আগে এর মধ্যে অল্প নুন দিয়ে নিতে হবে। তবে পান্তা ভাত এছাড়াও নানাভাবে খাওয়া হয়ে থাকে।
- অনেকে এর সঙ্গে শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে নিয়ে খেতে ভালোবাসেন। সঙ্গে থাকে পেঁয়াজ।
- কেউ কেউ পান্তা ভাতের সঙ্গে রান্না করা অন্যান্য পদও খেয়ে থাকেন।
- পান্তা ভাতের লেবুর রস মিশিয়ে নারকেলের টুকরো ও লঙ্কা দিয়ে খান অনেকে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Cough types: কাশিরও আছে রকমফের ! কোনটায় ভয় কোনটায় নয় ?