কলকাতা: নতুন জুতো হোক বা প্রচন্ড গরম, ফোস্কা কমবেশি অনেকের পায়েই পড়ে। দীর্ঘক্ষণ জুতো পরে হাঁটাহাঁটি করলে বা জুতো পায়ে সঙ্গে ঠিকমতো মানানসই না হলে ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই ‘জ্বালাময়ী’ ব্যথা যে কী, তা যার পায়ে হয় সেই বোঝে। এই ব্যথা থেকে রেহাই পেতে অনেকে মলম লাগান। অনেকে আবার ব্যান্ডেজ বেঁঁধে বাকি পথটা হাঁটতে থাকেন। কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপকরণও ফোস্কা থেকে রেহাই দিতে সক্ষম। ওই উপকরণের ছোঁয়ায় শীতল ঠান্ডা অনুভূতি হবে। ফোস্কার জ্বলুনি কমবে নিমেষে।
ফোস্কার ব্যথা কমানো ঘরোয়া উপায়
১. গ্রিন টি - গ্রিন টি একদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, অন্যদিকে প্রদাহনাশী। তাই এটি পায়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। একটি টি ব্যাগ গরম জলে কিছুক্ষণ ডোবানোর পর ঠান্ডা করে নিন। এবার সেটি পায়ের ফোস্কার জায়গায় লাগান। এতেই ফোস্কা সেরে যাবে অনেকটা।
২. অ্যালোভেরা - ফোস্কার জ্বলুনি কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এর সামান্য জেল নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দিনে দুই-তিনবার এই প্রক্রিয়াটি করলেই ব্যথা থেকে অব্যাহতি পাবেন।
৩. নারকেল তেল - ক্ষতস্থানে নারকেল তেল লাগালেও উপকার পাবেন। নারকেল তেলের উদ্ভিজ্জ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে আর্দ্র রাখে। প্রথমে পা হালকা গরম জলে পাঁচ মিনিট ধুয়ে নিন। এবার ক্ষতস্থানে নারকলে তেল লাগিয়ে নিন। দিনে দুইবার এই প্রক্রিয়া করলেই রেহাই পাবেন ব্যথার থেকে।
৪. মধু - ফোস্কার জ্বলুনি কমাতে মধু বেশ উপকারী। তাই জুতোর ঘষায় ফোস্কা পড়ে গেলে ক্ষতস্থানে মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন। আরাম পাবেন।
৫. বেকিং সোডা - বেকিং সোডাও ফোস্কার জ্বলুনি কমাতে বেশ উপকারী। এর জন্য প্রথমে হালকা গরম জলে কিছুটা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। একটি তুলো দিয়ে ওই সোডা জল পায়ের ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে হবে। দিনে ২-৩ বার এই প্রক্রিয়া করলেই ব্য়থা থেকে রেহাই মিলবে।
জুতো পরার সময় কী কী খেয়াল রাখবেন ?
- জুতো পরার সময় লক্ষ করুন পায়ের কোন অংশে ঘষা লাগছে। সেই অংশগুলিতে তুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন।
- পায়ের যে অংশগুলিতে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে অল্প ভেসলিন লাগিয়ে নিন। এতে ঘর্ষণের ফলে ছড়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়ার ভয় কমে।