কলকাতা: শরীরের বর্জ্য উপকরণ কিডনি পরিশ্রুত করে বার করে দেয়। এর মধ্যে কিছু পদার্থ কিডনির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে না। তার মধ্যে রয়েছে অক্সালেট জাতীয় যৌগ, ক্যালসিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিড (uric acid)। এই ধরনের পদার্থ কিডনির ক্ষতি করে। পাশাপাশি কিডনিতে জমা হয়ে পাথরের আকার নেয়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান পোশাকি নাম দিয়েছে কিডনি স্টোন (kidney stone)। তবে এই স্টোন আমাদের রোজকার জীবনযাপনের কারণেই হয়। আমাদের জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস পাল্টালে কিডনির বিপদও এড়ানো যায়। এর জন্য রোজকার জীবনে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। 


ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শৈলেশচন্দ্র সহায় এবিপি লাইভকে এমনই কয়েকটি টিপস দিলেন। এই টিপস মানলে কিডনি স্টোন ও তা থেকে কিডনি বিকল হওয়ার মতো বিপদ এড়ানো সম্ভব।


হাইড্রেশন: বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কিডনিতে জমে পাথরের আকার নেয়। তাই এই খনিজ পদার্থ যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এর জন্য রোজ জল বেশি করে খেতে হবে। এতে মূত্রের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়। ফলে খনিজ পদার্থ সহজেই পরিশ্রুত হয়ে বেরিয়ে যায়।


সোডিয়াম খাওয়া কমান: কিডনি ভাল (kidney health) রাখতে চাইলে সোডিয়াম খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা করে। এর ফলে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা যায় বেড়ে। রোজকার খাবারে তাই নুনের পরিমাণ সীমিত রাখুন।


কম ক্যালসিয়াম খান: ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে বিশেষ জরুরি। কিন্তু একইসঙ্গে এটি কিডনির বিপদ ডেকে আনে। এটি জমাট বেঁধে স্টোন তৈরি করে। তাই রোজকার খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম রাখুন। তাহলেই ভাল থাকবে কিডনি।


অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন: বাদাম, চকোলেট, বিট ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে। যা কিডনিতে পৌঁছে পাথরের আকারে জমতে শুরু করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি তাই অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবারও খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।


প্রোটিন সীমিত খান: বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে ভালোবাসেন? এতেই বিপদ ডেকে আনছেন নিজের। উচ্চমাত্রার প্রোটিন কিডনি পরিশ্রুত করতে পারে না। এর ফলে কিডনিতে সেটি অল্প অল্প করে জমতে শুরু করে। যা পরে পাথরের আকার নেয়। তাই খাবারের মধ্যে রোজ উচ্চমাত্রার প্রোটিন না রাখাই ভালো।


আরও পড়ুন: High blood pressure: উচ্চ রক্তচাপ হার্টে কীভাবে ব্লকেজ তৈরি করে ? গোপন কায়দার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা


সূত্র - এবিপি লাইভ