সুস্থ থাকতে হলে সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করার পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা করা। তবে অনেকেই হয়তো প্রতিদিন জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট করতে পারেন না। কিংবা যোগাসন অভ্যাস করাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরকে সচল রাখতেই হবে। অতিরিক্ত মেদ জমতে দেওয়াও চলবে না। আর এইসব খুঁটিনাটি বজায় রাখতে চাইলে নিয়মিত কিছু একসারসাইজ করা প্রয়োজন। রোজ খুব সহজে কী কী একসারসাইজ করলে আপনি একদম ফিট থাকবেন সেগুলোই দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
হাঁটা- নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস থাকা খুবই জরুরি। তবে যখনই হাঁটতে যান না কেন, নিজের স্বাভাবিক গতির তুলনায় অতিরিক্ত বেশি স্পিডে হাঁটতে যাবেন না। এর ফলে আপনি অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠবেন। কিংবা শরীরে অন্য ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিজের স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন। অবশ্যই হাঁটতে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকলে সঙ্গে ঘাম মুছে নেওয়ার জন্য তোয়ালে বা বড় রুমাল জাতীয় জিনিস রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত হাঁটলে আপনার হার্ট ভাল থাকবে। কমে যাবে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা। খুব রোদের মধ্যে হাঁঁটাচলা না করাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তাই একদম ভোরবেলা কিংবা রাতের দিকে হাঁটতে বেরোতে পারেন।
সাঁতার- নিয়মিত সাঁতার কাটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। বলা ভাল মেদ ঝরানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল সাঁতার কাটা। সাঁতার কাটলে সারা শরীরের একসারসাইজ হয়ে যায়। তার ফলে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ সচল রাখতেই সাহায্য করে এই সাঁতার। আপনার ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্র ভাল রাখতেও কাজে লাগে সাঁতার কাটার অভ্যাস।
অ্যারোবিকস ও জুম্বা- রিদম বা মিউজকের তালে তালে ওয়ার্ক আউট করার পদ্ধতিকে বলে অ্যারোবিকস। আজকাল অনেকে নিয়মিত ভাবে জুম্বাও করেন। এই দুইয়ের সাহায্যেই শরীর ঝরঝরে থাকে। ওজন হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। অতএব নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নজর দিতে চাইলে অতি অবশ্যই অ্যারোবিকস বা জুম্বা অভ্যাস করুন।
দৌড়ানো- অনেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় দৌড়ানোর অভ্যাস থাকে। মূলত সকালের দিকে দৌড়ানোই ভাল। এর ফলে শরীরের পেশি সচল থাকে। এর পাশাপাশি হাড়ের গঠন সুদৃঢ় হয় এবং সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া খুবই ভালভাবে সম্পন্ন হয়।
সাইকেল চালানো- নিয়মিত ভাবে সাইক্লিং করার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর হবে। অর্থাৎ আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা সঠিকভাবেই বজায় থাকবে।