কলকাতা: হজমের সমস্যা থেকে পেটের গোলমাল, খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। বহু মানুষই কোষ্ঠকাঠিন্যর (Constipation) সমস্যায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞরা জানান যে, নানা কারণে যখন মলত্যাগ সঠিকভাবে না হয়, আর দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় রূপ নেয়। এটি একটি জটিল সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এর সমাধানও রয়েছে। এমন বহু খাবার (Foods) রয়েছে, যেগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাকে কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১১ থেকে ১২ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে বহু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খাওয়াও একটা অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি এমন কিছু খাবার তালিকায় রাখা দরকার, যা মলত্যাগ প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে হতে সাহায্য করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সমাধান করে যে খাবারগুলি-
১. শরীর সুস্থ রাখতে সবুজ শাক-সব্জির কোনও তুলনা হয় না। নানাপ্রকার অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী সব্জির রস। প্রতিদিন সন্ধ্যের সময়ে এক গ্লাস সব্জির রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
২. ভেষজ উপাদানের মধ্যে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। বাড়ির বয়স্ক সদস্যরা নানা সময়ই ত্রিফলা ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ত্রিফলা তৈরি হয় আমলকি, হরিতকি এবং বয়রা দিয়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ গরম জল কিংবা দুধে অর্ধেক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - Diabetes: রান্নায় যে উপাদানগুলি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন মধুমেহ রোগীরা
৩. ব্রেকফাস্ট কিংবা সন্ধ্যের জলখাবারে ওটস খাওয়ার কথা নানা সময়ই জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতে রয়েছে প্রচুর উপকারী উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগীদের ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী। নিয়মিত খেলে ফল পাবেন।
৪. ঘি খেতে পছন্দ করে ছোট থেকে বড় সকলেই। কিন্তু জানেন কি, কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগীদের জন্য ঘি কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।