Post Yoga Meal: সুস্থ থাকতে যাঁরা নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করেন তাঁদের ক্ষেত্রে যোগাসনের পরে কী ধরনের খাবার খাবেন, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যের সার্বিক খেয়াল রাখার জন্য। তাই যোগাসন শেষ করার পর কী কী খেতে পারেন, দেখে নিন।


বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি


সাধারণত যোগাসন শেষ করার ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ সবচেয়ে ভালভাবে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে। তাই যোগাসন শেষ করার পরে আপনি খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। ভেজিটেবল স্যালাড হোক কিংবা ভেজিটেবল স্যুপ, অথবা সবজি সেদ্ধ- যেটা ইচ্ছে খেতে পারেন যোগাসনের পরে। শাকসবজির তালিকায় গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি রাখা প্রয়োজন। যোগাসনের মাধ্যমে যেহেতু আপনি ক্যালোরি ঝরাবেন, এইসব শাকসবজি আপনার শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সাহায্য করে।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার


যোগাসনের পর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন আপনি। এর পাশাপাশি অ্যাটিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার সার্বিক ভাবে আপনার স্বাস্থের খেয়াল রাখবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস ফ্রুট অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন। এছাড়াও পাতে রাখতে পারেন সবুজ রঙের বিভিন্ন ধরনের শাকপাতা জাতীয় সবজি। যোগাসনের পরে জামজাতীয় ফলও খেতে পারেন।


হেলদি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার


যোগাসন শেষ করার পর যে ধরনের খাবার খাবেন তার মধ্যে হেলদি ফ্যাট থাকা প্রয়োজন। যোগাসন অভ্যাসের পরে স্বভাবতই শরীর ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে এই হেলদি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে আপনি শরীরে এনার্জি অনুভব করবেন। হেলদি ফ্যাট যুক্ত খাবার হিসেবে যোগাসনের পরে আপনার পাতে রাখতে পারেন অ্যাভোকাডো, বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আমন্ড, আখরোট ও বিভিন্ন ধরনের বীজ খেতে পারে আপনি। উপকার পাবেন নিশ্চিত। 


প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার


ডায়েট করুন কিংবা যোগাসন করুন শরীর প্রোটিনের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন যোগাসনের পরে। এক্ষেত্রে কী কী খেতে পারেন চলুন দেখে নেওয়া যাক। যোগাসন করতে গিয়ে পেশীতে কোনও সমস্যা হলে তা ঠিক করতে প্রয়োজন হয় প্রোটিনের। এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন ডিম, মাছ, মুরগির মাংস। এছাড়াও ক্ষেত্রে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্মুদি।


শরীর হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন


যোগাসন করলে ঘাম হবে। তার মাধ্যমে শরীর থেকে জল এবং মিনারেলস অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। তাই এইসব উপকরণের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। শরীর থেকে জল এবং মিনারেলস কমে গেলে পেশীতে টান ধরতে পারে যাকে বলে মাসল ক্র্যাম্পস। এক্ষেত্রে শুধু জল খেয়ে শরীর হাইড্রেটেড রাখলে হবে না। বিটনুন-চিনি-পাতিলেবুর রস মেশানো জল, ডাবের জল খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আপনি সুস্থ থাকবেন।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার করা সামান্যতম ভুলও, কী কী করবেন না? দেখে নিন