কলকাতা: যতই প্রসাধনী ব্যবহার করুন বা যতই সাজসজ্জা করুন না কেন, ত্বকে (Skin) যদি ব্রন (Pimple) বা অ্যাকনে (Acne) থাকে, তাহলে সমস্ত সাজই মাটি হয়ে যায়। মুখের সৌন্দর্যকে এক নিমেষে মাটি করে দিতে পারে ব্রন, অ্যাকনে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তনেই পাওয়া যেতে পারে ব্রন-অ্যাকনে মুক্ত ত্বক। 


আপনি কি ব্রন, অ্যাকনে, ওপেন পোরস, ব্ল্যাকহেডস, পিগমেন্টেশন বা এই ধরনের কোনও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে এখনই আপনার খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, পরিস্কার ত্বক পাওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকা জরুরি। যাতে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। পাশাপাশি ধুলো, ময়লার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য ত্বক নিয়মিত পরিস্কার করাও দরকার। কোন কোন খাবার খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব, তারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন - Yoga: যোগব্যায়ামের সময়ে এই ভুলগুলো করছেন না তো? হতে পারে মারত্মক বিপদ


প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পাশাপাশি জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন। এর জন্য সূর্যমুখীর বীজ, পেয়াকা, কিউয়ি, কমলালেবু, ডিম প্রভৃতি অবশ্যই রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, সুস্থ ত্বক পেতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্যামন, টুনাজাতীয় মাছ খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এই সমস্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও প্রতিরোধ করে।


২. মাছের তেলও ত্বকের জন্য উপকারী বলে মত তাঁদের।


৩. টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে। ত্বকে টমেটোর ব্যবহার পিগমেন্টেশনের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে  দারুণ উপকারী টমেটো।


আরও পড়ুন - Health Update: নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে দিতে পারে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার ঝুঁকি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা


৪. ত্বক যত বেশি হাইড্রেটেড থাকবে, তত ত্বকের সমস্যা কম হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রতিদিন দু গ্লাস করে চিনি ছাড়া লেবুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 


৫. ত্বক সুস্থ রাখতে ডাব বা নারকেলের জলও খেতে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।