Gima Shak Benefits: শাকসবজি মানেই নানারকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। একই সঙ্গে প্রদাহনাশী নানা উপাদান থাকে শাকে। আর এই গুণের জেরেই বেশ কিছু ক্রনিক রোগের সহজ সুরাহা হল এই শাকগুলি। তেমনই একটি শাক হল গিমা শাক। এর স্বাদ তেতো। তাই অনেকের অপছন্দ হতে পারে। কিন্তু তেতো নিমপাতার মতোই হাজার একটা গুণে ভরপুর গিমা শাক।
গিমা শাকের গুণাগুণ
কোলন সাফ করে - কোলন বা অন্ত্রের জন্য গিমা শাক বেশ উপকারী। এটি নিয়ম করে খেতে পারলে কোলনে আর বর্জ্য পদার্থ জমে থাকবে না। ফলে কোলনের রোগও কম হবে।
বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে - কোষ্ঠকাঠিন্যে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিকমতো হয় না। এর ফলে বর্জ্য পদার্থ অর্থাৎ মল নির্গত হয় না সহজে। গিমা শাক বাওয়েল মুভমেন্টের সমস্যা কমায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই মেলে।
সুগার স্পাইক হতে দেয় না - ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ঘন ঘন রক্তে সুগার স্পাইক করে। এই স্পাইক হতে দেয় না গিমা শাক। গিমা শাকের ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
অ্যাজমার সমাধান - অ্যাজমার সমস্যায় বয়স্কদের অনেকে ভোগেন। গরমকালে নানা কারণে সেই সমস্যা বেড়েও যেতে পারে। গিমা শাক অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। শ্বাসনালির প্রদাহ কমিয়ে এই রোগকে কাবু করে।
মাসল পেনের সুরাহা - সারাদিনের খাটাখাটনির জেরে অনেকে পেশির ব্যথায় ভোগেন। এই ব্যথা থেকে রেহাই দেয় গিমা শাক। গিমা শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাসলের স্ট্রেসকে অনেকটা কমিয়ে দেয়।
অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই - অ্যাসিডিটির সমস্যায় খাবার দাবার ঠিকমতো খেতে পারেন না অনেকে। গিমা শাকের পুষ্টিগুণ এই সমস্যার বড় সুরাহা। নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার মতো গুরুতর সমস্যাগুলির থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায়।
ওয়েট লসের চাবিকাঠি - ওজন কমাতেও সাহায্য করে গিমা শাক। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখে। ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। যা প্রকারান্তরে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
লিভারের উপকার - বর্তমানে লিভারের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। লিভারের বাইল জুস উৎপাদনে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে গিমা শাক। নিয়মিত খেলে লিভারের গুরুতর রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
ডিসক্লেমার: এই লেখায় উল্লিখিত দাবি পরামর্শস্বরূপ। মেনে চলার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের মত নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Centella Asiatica: আপনার হাতের কাছেই থানকুনি পাতা, কত যে গুণ ভাবতেও পারবেন না