কলকাতা: গাছে কাঁঠাল হওয়ার আগে এঁচোড়ের স্বাদ নিতে ভালবাসেন অনেকে। নানা মুখরোচক পদই তখন আলো করে থাকে এই সবজি। আদতে কিন্তু ফল। একদিকে যেমন নিরামিষ বিভিন্ন রান্না করা যায়, তেমনই অন্যদিকে আমিষ রান্না করতেও এঁচোড় ব্যবহার করেন অনেকে। এঁচোড়কে গাছ পাঁঠাও বলেন অনেকে। কাঁঠালের এই কাঁচা সংস্করণটি নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর। কী সেগুলি ? দেখে নেওয়া যাক।
এঁচোড়ের গুণ (green jackfruit health benefits)
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ - একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এঁচোড়। এর মধ্যে মূলত তিনরকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। সেই তালিকায় রয়েছে লিগন্যান, ফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারোটিনয়েডস।
শরীরের প্রদাহ কমায় - শরীরের ভিতরকার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এঁচোড়। এর মধ্য়ে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিভিন্ন ক্রনিক রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
পেটের আলসার প্রতিরোধ করে - আধুনিক জীবনযাপনের কারণে খাবার দাবারের প্রভাব পেটের উপর পড়ছে। আর তা থেকেই হচ্ছে আলসার। এই আলসারের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে এঁচোড় (green jackfruit benefit)। এটি নিয়মিত খেতে পারলে আলসারের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে সহজেই।
কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে - কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এঁচোড় (green jackfruit)। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। একই সঙ্গে পেট সাফ করে।
অস্টিয়োপোরোসিস ঠেকায় - অস্টিয়োপোরোসিসে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই রোগে হাড় সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এঁচোড় অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - এঁচোড়ের মধ্য়ে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি। এই বিশেষ উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি প্রধান অংশ। ফলে অনাক্রম্যতাও জোরদার করে এই ভিটামিন।
ত্বকের যত্ন - ত্বকের নিচে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে ভিটামিন সি। আর এঁচোড়ে এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তাই গাছ পাঁঠা খেলে ত্বকেরও উপকার।
ক্যানসার প্রতিরোধী - ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এঁচোড়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোশের ডিএনএ-কে স্ট্রেসজনিত ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। যার ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
সংক্রমণের হার কমায় - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়। তাই মরসুম বদলে এঁচোড় খেলে বড় উপকার পাওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health Tips: ঘন ঘন নিজের ছবি তুলতে গিয়ে ‘সেলফি সিনড্রোম’ হচ্ছে না তো ? বুঝবেন কীভাবে ?