কলকাতা:  শীত হোক বা গরম, চুলের যত্ন নিতে হয় বছরভর। চুলের যত্নের জন্য অন্যতম ভরসা তেল। আগে অনেকেই সর্ষের তেল ব্যবহার করলেও ইদানিং নারকেল তেলের ব্যবহারই বেশি হয়। পাশাপাশি আমন্ড তেল বা অন্য বাদাম তেলের ব্য়বহারও হয়ে থাকে।


তবে অনেকে বলে থাকেন নারকেল তেলের ব্যবহারই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য় সবচেয়ে ভাল। বাজারে নানা ধরনের তেল পাওয়া যায়। নারকেল তেলের সঙ্গে আরও নানা ধরনের সামগ্রীর ব্য়বহার হয়। কিন্তু বাজার থেকে কেনা তেলের উপরে ভরসার দরকার হয় না, যদি বাড়িতেই মাথার তেল তৈরি করা যায়। খুব সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করা যায় চুলের তেল। বাজারে সহজেই মেলে এমন জিনিস দিয়েই তৈরি করা যাবে তেল। বাড়িতে বাগান থাকলেও কাজ হবে। 


কী কী প্রয়োজন:
বাড়িতে তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন শুদ্ধ নারকেল তেল। অর্থাৎ সেই তেলে কোনওরকম এসেন্স বা কোনওকিছু মেশানো থাকবে না। প্রয়োজন ২ কাপ নারকেল তেল। তার সঙ্গেই প্রয়োজন জবাফুলের পাপড়ি এবং জবা গাছের পাতা। জবা ফুল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। আগে থেকে জবাফুল ও পাতা শুকিয়ে রাখতে হবে। সেগুলি নারকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রাখতে হবে। এক কাপের চার ভাগের একভাগ পরিমাণে শুকনো জবাফুল ও পাতা প্রয়োজন। তারপর সেই মিশ্রণে চিয়া বীজ দিতে হবে। চিয়া বীজ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তেলের মধ্যে দেওয়া যায় শুকনো হেনা পাতা। চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী হেনা। খুশকি প্রতিরোধ করতে এবং মাথার ত্বকের হাইড্রেশনের জন্য় অ্য়ালোভেরা প্রয়োজন। এই তেলে দেওয়া যাবে অ্যালোভেরার জেল। কোনও অ্যালোভেরা পাতা কেটে তার ভিতর থেকে জেল বের করে তেলে মেশাতে হবে। কারিপাতাও ব্যবহার করা যায় ঘরে তৈরি এই তেলের জন্য়।


কী ভাবে তৈরি?
প্রথমে তেলের মধ্যে জবাফুল ও পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেখানে একে একে বাকি উপকরণ মেশাতে হবে। পরে সেই মিশ্রণটি শুকনো কোনও বাটিতে রেখে অল্প আঁচে বসিয়ে দিতে হবে। অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট ধরে অল্প আঁচে সেই তেল ফুটোতে হবে। তেল ফুটিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে তা নামিয়ে আনতে হবে। কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নেওয়ার পরে, একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিলেই তৈরি তেল। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: কখনও অসচেতনতা, কখনও অনীহা, তার ফাঁকেই থাবা বাড়াচ্ছে এইডস, মুক্তি কীভাবে?