Hair Fall Due To Stress: বর্তমান সময়ে জীবনযাপনের সঙ্গে যে যে বিষয়গুলি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তার মধ্যে অন্যতম হল স্ট্রেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংস্থার কথায়, স্ট্রেসের জেরে মানুষ বিভিন্ন ক্রনিক রোগের শিকার হচ্ছে। একের পর এক দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হতে হচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। আর এই স্ট্রেসের জেরেই বাড়ছে চুল পড়ার হার। একটা বয়সের পর চুল পড়ার সমস্যা (Hair Fall Issues) বেড়ে যায়‌। স্ট্রেস (Stress) তার একটি বড় কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 


স্ট্রেস আদতে কী ?


স্ট্রেস বা চাপ আদতে দুই রকম হতে পারে‌। এর মধ্যে একটি মানসিক ও অন্যটি শারীরিক। তবে দুটি স্ট্রেসই সম্পর্কিত‌। অর্থাৎ মনের সমস্যা হলে শরীরে তার ছাপ পড়বে। আবার শারীরিক স্ট্রেস হলে মনে তার প্রভাব দেখা যায়‌।


স্ট্রেসের উৎস


মূলত কোনওকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার ফলেই স্ট্রেস তৈরি হয়। অফিস, বাড়ি বা রাস্তাঘাট যেকোনও স্থানের ঘটনাই এর কারণ হতে পারে। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, এই স্ট্রেস ক্ষেত্রবিশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। যে কারণেই ক্রনিক রোগের শিকার হন অনেকে। 


স্ট্রেসের কারণে চুল পড়া


স্ট্রেসের কারণে বিভিন্ন ক্রনিক রোগের মতোই চুল পড়তে (Hair Loss) পারে। আর এই ধরনের চুল পড়ে যাওয়া বেশ কয়েক ধরনের হয়।


টেলুজেন এফলুভিয়াম - সাধারণ এই ক্ষেত্রে প্রথমে চুল‌ পাতলা হয়ে আসে।  পরের ধাপে মাথার ঠিক উপরের অংশ থেকে চুল উঠতে শুরু করে। এই অবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য 


ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া - এই সমস্যাটিতে নিজের চুল নিজেই উপড়ে ফেলেন অনেকে। প্রচণ্ড স্ট্রেস ও রাগ থেকে এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়াও, চূড়ান্ত অবসাদের কারণেও এটি হয়।


অ্যালোপেশিয়া অ্যারেটা - তীব্র স্ট্রেসের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করে চুলে। চুলের জন্য জরুরি ভিটামিন আদতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও গড়ে তোলে।


সুরাহা কোন পথে ?


স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ - চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ (Hair Care Tips) করতে হলে প্রথমেই স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর জন্য কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন। 


এক, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত থাকা এবং সেই পরিধির মধ্যে থেকে কাজ করা। যাতে খুব বেশি চাপের মধ্যে নিজেকে পড়তে না হয়। 


দুই, টাইম ম্যানেজমেন্ট। সময়ের মধ্যে সময়ের কাজ শেষ করার চেষ্টা। পাশাপাশি দিনের অন্যান্য কাজের সময় ঠিক রাখা। রুটিন মেনে চলতে পারলে স্ট্রেসকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।


তিন, স্ট্রেস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ রোজ দুই বেলা ১০ মিনিট করুন। নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এর পর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে মন অনেকটা শান্ত হয়। ফলে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Weight Loss: ওজন কমাতে সুস্বাদু চিজই 'কাফি', কোন কোন চিজ রাখবেন ডায়েটে ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।