Hair Fall Problem: চুল পড়ার সমস্যা এখন সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে আজকাল চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল সকলে। চুল পড়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন অনেক কাজ করে থাকি, যেগুলি চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিনের জীবনে আপনি এই কাজগুলি করছেন না তো? দেখে নিন দৈনন্দিন জীবনশৈলীর কোন কোন অভ্যাস আমাদের চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
- অনেকেই চুলে স্টাইলিং টুল ব্যবহার করেন। চুলে বাহারি স্টাইল করার জন্য স্ট্রেটনার কিংবা কার্লারের ব্যবহার আপনার চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর পাশাপাশি ভেজা চুল শুকনো করার জন্য ব্লোয়ার কিংবা ড্রায়ার ব্যবহার করলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। মূলত এইসব স্টাইলিং টুল ব্যবহার করার কারণে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। তার ফলে সহজে চুল পড়ে যায়।
- স্ট্রেসের কারণেও চুল পড়ার সমস্যা মারাত্মক ভাবে বাড়তে পারে। আজকাল নানা কারণে সকলের জীবনের প্রচুর স্ট্রেস থাকে। পারিবারিক সমস্যা, অফিসে চাপ ছাড়াও একাধিক কারণে স্ট্রেস বাড়তে পারে আপনার। চুল পড়ার সমস্যা কমাতে চাইলে আপনাকে স্ট্রেসের মাত্রাও কমাতে হবে। এর জন্য আপনি যোগাসন, মেডিটেশন অভ্যাস করতে পারেন। স্ট্রেসের মাত্রা অত্যধিক হয়ে গেলে আনুষঙ্গিক আরও অনেক সমসুয়া দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
- যাঁরা নিয়মিত শ্যাম্পু করেন, তাঁরা হাল্কা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। আর তার সঙ্গে অবশ্যই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। চুলের ধরন অনুসারে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। নাহলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তার সঙ্গে বাড়তে পারে চুল পড়ার সমস্যা। সালফার যুক্ত শ্যাম্পু নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে চুলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। চুল পড়ার পাশাপাশি চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাবে। চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যেতে পারে। অতএব শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বেছে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
- অনেকে খুব টাইট করে চুল বাঁধেন। ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেন। ভেজা মাথা বালিশে দিয়ে শুয়ে পড়েন। স্নানের পর চুলে দীর্ঘক্ষণ টাওয়েল কিংবা গামছা পেঁচিয়ে রাখেন। এই সমস্ত অভ্যাস আপনার চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় এবং চুল পড়ার সমস্যা অত্যধিক হারে বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন- জলখাবারে ফল খাবেন নাকি খাবেন না? খেলে উপকারই বা কী কী?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।