কলকাতা: বর্ষাকালে (Monsoon) একাধিক অসুখ বিসুখ দেখা দেয়। জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশির সঙ্গে পেট খারাপ ও ডায়রিয়াসহ একাদিক অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাদ্যাভ্য়াসে কিংবা লাইফস্টাইলে সামান্য একটু ভুল হলেই এই সমস্ত রোগ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তন, কখনও ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে তো কখনও ভ্যাপসা গরম। ঘামও হচ্ছে আবার পাখা চালালে ঠান্ডা লাগছে। তার সঙ্গে জলে সামান্য সমস্যাতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে নানা অসুখের। এই সময়ে পেটের সমস্যা (Upset Stomach) লেগেই থাকে। পেট খারাপ থেকে পেটে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় বহু মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে (Rainy Season) কোন খাবার খাবেন আর কোনটা খাবেন না, তা নিয়ে নানা সংশয় দেখা দেয়। একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক, এমন অবস্থায় কোন কোন খাবার খাবেন।
বর্ষাকালে পেট ভালো রাখতে যে খাবারগুলো খেতে পারেন-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে পেট ভালো রাখার জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে কলা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা পেট খারাপ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাকস্থলীতে জ্বালার সমস্যা দূর করে। শুধু পাকা কলাই যে উপকারী, তা নয়। এই সময়ে কাঁচকলা রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট বজায় রাখতে সাহায্য করে উপকারী এই ফল। বমিস পায়খানার সমস্যা দূর করে। গ্যাস, অম্বল দূর করতে অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার পরিবর্তে পাকা কলার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু অথবা আদা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
২. ডাব অথবা নারকেলের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস এবং ইলেক্ট্রোলাইটস। যা পেট ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। এতে খুব কম মাত্রায় রয়েছে ফ্যাট এবং ক্যালোরি। এই সময় যাঁদের মাথা ঘোরা, বমিভাবের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাঁরা প্রতিদিন তালিকায় রাখতে পারেন ডাবের জল।
আরও পড়ুন - Chocolate: চকোলেট খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে?
৩. জল এবং খাবার থেকে এই সময়ে নানা অসুখ ছড়ায়। পেটের সমস্য়া দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যাও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই দই রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যা হজমশক্তি উন্নত করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন।
৪. সুস্থ থাকতে শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে সুস্থ থাকতে গেলে। এছাড়াও জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ORS। এছাড়াও প্রয়োজনে জলে নুন ও চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন।
৫. রান্নায় হলুদের তো ব্যবহার করছেনই। তার সঙ্গে এই সময় হলুদ দুধ দারুণ উপকারী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।