কলকাতা: চকোলেট (Chocolate) খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছোট থেকে বড় সকলেই নানা অজুহাতে চকোলেট খেতে পছন্দ করেন। জন্মদিন হোক কিংবা অন্য কোনও উৎসব। বহু মানুষই চকোলেট খাওয়ার জন্য অজুহাত খোঁজেন মাত্র। তবে, চকোলেট যে শুধুই ভালোবাসেন বলে খাওয়া হয়, এমন কিন্তু নয়। বেশিরভাগ মানুষই এটিকে পছন্দ করেন বলে খান। কিন্তু আসলে এর উপকারিতা অনেক। আবার ওজন বৃদ্ধির ভয়ও বহু মানুষ চকোলেট খেতে ভয় পান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চকোলেটের উপকারিতা অনেক। মিল্ক চকোলেট থেকে ডার্ক চকোলেট (Dark Chocolate), এক একটির এক-একরকম উপকারিতা। স্বাস্থ্যের নানা উপকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চকোলেট। কিন্তু ওজন কমানোর (Weight Lose) ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলে পছন্দের এই খাবার?
ওজন কমানোয় কী প্রভাব ফেলে চকোলেট?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুস্থ এবং ফিট থাকতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডার্ক চকোলেট। স্ট্রেস দূর করতেও এটি দারুণ উপকারী। এতে থাকা কোকোয়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শর্করা এবং দুধ কম থাকে এতে। পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে কোকোয়া থাকে ডার্ক চকোলেটে। এটি কীভাবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খিদে পাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে ডার্ক চকোলেট। খিদে পেলেই এটা ওটা খেয়ে নেওয়ার অভ্যাসেও লাগাম টানা যায়।
২. ডার্ক চকোলেটে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভলয়েডস। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে অবাঞ্ছিত ফ্যাট জমার হাত থেকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন - Health Tips: ক্লান্তি, চুল পড়ার সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন? জানেন কী ভুল করছেন?
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্ক চকোলেট খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এছাড়াও এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওটমিল কিংবা ব্রকোলিতেও ফাইবার থাকে। কিন্তু চকোলেটে তার থেকেও বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৪. অত্যধিক স্ট্রেসের কারণেও ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস দূর করতে ডার্ক চকোলেটের জুড়ি মেলা ভার। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ও সাহায্য করে এটি।
৫. সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে বহু মানুষেরই শরীরচর্চায় অনীহা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডার্ক চকোলেট শরীরচর্চা করতে প্রেরণা যোগায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।