কলকাতা: ব্রেফফাস্ট ঠিকমতো করলে ভাল যায় গোটা দিনটাই। দিনের শুরুটাই পুষ্টিকর খাবার দিয়ে করতে বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এনার্জি তো বটেই শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চলার জন্য প্রয়োজনীয় সুষম ব্রেকফাস্ট। আর সেখানেই বাদামের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়ে থাকে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার এবং অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট (anti oxidant) থাকা প্রয়োজন ব্রেকফাস্টে। সেই কারণেই ভরসা করা যায় বাদামকে।

  


রান্নার প্রয়োজন নেই:
সুষম খাবার প্রয়োজন, অথচ সময়ও বেশি নেই হাতে। এমন পরিস্থিতিতে কাজে লাগে বাদাম (Nuts)। কারণ সব বাদামই খোসা বাদ দিলে কাঁচা অবস্থায় শাঁস খাওয়া যায়। অনেকসময় বিভিন্ন রান্নাতেও ব্যবহার হয় নানা ধরনের বাদাম। 


রকমারি বাদাম:
আমন্ড (Almond) থেকে কাজু, চিনা বাদাম (peanuts) থেকে পেস্তা। বাঙালির রান্নাঘরে পরিচিতি সব ধরনের বাদামই। রয়েছে আখরোট (walnut) ও হেজেলনাটও।


পুষ্টিপদার্থের সমাহার:
প্রোটিন ও ফ্যাটের উৎস বাদাম। তার সঙ্গেই থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরি। প্রায় সব বাদামেই মেলে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্য়াঙ্গানিজ এবং কপারের মতো খনিজ। বাদাম থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ই (Vitamn E)। তবে এক এক ধরনের বাদামের মধ্যে পুষ্টিপদার্থের ফারাকও থাকে।  


অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর:
যে কোনও বাদামেই রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যৌগ। যেমন আখরোট, তথ্য বলে free radicals ঠেকাতে আখরোট থেকে পাওয়া পুষ্টিপদার্থ মাছের থেকেও বেশি উপকারী। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ আখরোট ও আমন্ড খেলে কোষের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


ওজন কমাতেও সাহায্য:
বাদামকে হাই-ক্যালোরি ফুড বলা হয়। যদিও সেটি ওজন কমাতেই সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত ডায়েটে সবধরনের বাদাম থাকলে পুষ্টির পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।


কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডে লাগাম:
পেস্তা ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। যাঁরা ওবেসিটিতে ভুগছেন বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কাজে লাগে পেস্তা।  বাদামে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা কোলেস্টেরলে লাগাম রাখতে সাহায্য করে। 


মেটাবলিক সিনড্রোমে উপকারী:    
মেটাবলিক সিনড্রোমে (Metabolic syndrome) এমন একটি অবস্থা, যা হার্টের রোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। কম কার্বোহাইড্রেট এবং রক্তে শর্করার মাত্রায় লাগাম পরাতে হয় এই পরিস্থিতিতে। ডায়েটে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে বাদাম রাখলে উপকার মিলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


দূর করবে প্রদাহ:
বাদামে ভরপুর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি (Anti Inflammatory) যৌগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, চোট-আঘাতের সময়ে শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর হয়। তাকেই সাহায্য করে বাদামের এই পুষ্টিগুণ। শরীরে বয়সের ছাপও তুলনায় দেরিতে পড়ে। 


প্রচুর ফাইবার:
পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফাইবার। পাচনতন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিনই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখা উচিত। বাদাম থেকে প্রয়োজনীয় ফাইবার মেলে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলে লাগাম দিতে হাতের কাছেই চেনা খাবার